গোপন জায়গা থেকে অডিও বার্তায় যা বললেন মাওলানা সাদ

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে তাবলিগ জামাতের একটি জমায়েত থেকে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে এই জমায়েত করেছিল দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাজ। এই অভিযোগে তাবলিগ জামাতের শীর্ষ নেতা মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও নিজামউদ্দিন মারকাজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

দেশে যত বেশি করোনা আক্রান্ত ধরা পড়ছে, ততই সন্দেহের তির ঘুরে ফিরে দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাজের তাবলিগ জামাতের দিকেই যাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত, মারকাজ নিজামউদ্দিনের মওলানা সাদ কান্ধালভির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। এর মধ্যেই গোপন জায়গা থেকে অডিও বার্তায় মাওলানা সাদ জানিয়েছেন, তিনি কোয়রান্টাইনে রয়েছেন। সাদ কান্ধালভিও করোনায় আক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

গত ২৮ মার্চ শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল সাদকে। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ। মারকাজ নিজামউদ্দিনে জমায়েত করা ও থাকার জন্য তিনিই উৎসাহ দিয়েছিলেন বলে মনে করছে পুলিশ।

একশো বছরের বেশি বয়স নিজামউদ্দিনের ওই বাড়িটির। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ি খালি করার জন্য নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ মওলানা সাদ তা অগ্রাহ্য করে গিয়েছিলেন। নিজামউদ্দিন কাণ্ডে মওলানা ছাড়াও, মারকাজের আরও ছয় কর্তাকেও খুঁজছে পুলিশ।

সাদকে ধরতে ইতোমধ্যেই ভারতের লখনউ, মুজফফরনগর-সহ বিভিন্ন এলাকায় দল পাঠিয়েছে দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সাদ নিজেও করোনায় আক্রান্ত। আর বুধবার মওলানা সাদের নামে যে দু’টি অডিও প্রকাশ্যে এসেছে তা-ও সে দিকেই ইঙ্গিত করছে।

মারকাজ ইউটিউব চ্যানেলে প্রথম অডিওতে বলা হয়েছে, ‘মসজিদই মৃত্যুর জন্য সেরা স্থান’। দ্বিতীয় অডিও অবশ্য একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে, পৃথিবীতে যা হচ্ছে তা মানুষের অপরাধের ফল। আমাদের ঘরে থাকা উচিত। এটাই সৃষ্টিকর্তার ক্রোধকে শান্ত করতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মানুন এবং প্রশাসনের সঙ্গে সহায়তা করুন। কোয়রান্টাইনে থাকুন, সে আপনি যেখানেই থাকুন না কেন। এটা ইসলাম বা শরিয়ত বিরোধী নয়। সূত্র: আনন্দবাজার।