রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুতির কারণ হিংসা-বিদ্বেষ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

momen
ফাইল ছবি

হিংসা-বিদ্বেষের কারণে পৃথিবীতে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন। কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীও এসব কারণেই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে মন্তব্য করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

গতকাল সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল নবীনবরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এমন মন্তব্য করেন। আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতে যুদ্ধ, বিগ্রহ ও অশান্তির কমাতে হলে ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী নির্বিশেষে একে অপরের প্রতি বিদ্বেষ কমাতে হবে। হিংসা-বিদ্বেষের কারণে পৃথিবীতে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। মিয়নমারের ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণও হিংসা-বিদ্বেষ।’

আগামীতে বাংলাদেশ পৃথিবীতে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চায় বলেও জানান মন্ত্রী।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি খাতে দক্ষদের জন্য সারা বিশ্বে কর্মসংস্থানের বাজার উন্মুক্ত রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৬ লক্ষ তথ্য প্রযুক্তিখাতে দক্ষ জনবল আছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে বাংলাদেশ এই খাতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে বলে মনে করেন মোমেন।

নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মোমেন বলেন, ‘কোন দেশের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শিক্ষা। শিক্ষা দুর্বল হলে নীতি,রাষ্ট্রীয় আইন-কানুন দুর্বল হয়,দেশ পিছিয়ে যায়। এ কারণে গুণগতমানের শিক্ষার গুরুত্ব সবসময়। শিক্ষা ছাড়া উন্নত জীবন সম্ভব নয়। আত্মবিশ্বাস এবং বর্তমান সময়কে সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারলে সফলতা আসবে। অতীত থেকে প্রেরণা নিতে হবে কিন্তু অতীত নিয়ে বসে থাকা চলবে না।’

ভবিষ্যতের নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য শিক্ষার্থীদের এখন পরিশ্রম করার তাগিদ দেন মন্ত্রী। যথাযথ শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলে শিক্ষার্থীরা এই দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ভার্চুয়াল নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. মফিজুল ইসলাম, ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা এ.এন.এম মেশকাত উদ্দীন, রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল (অব.) কাজী ফখরুদ্দীন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও নবাগত শিক্ষার্থীরা।