যে প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল সেই পিকে হালদার আগামী ২৫ অক্টোবর দেশে ফিরতে চান। দুবাই থেকে অ্যামিরেটস এয়ারলাইনস এর একটি ফ্লাইটে করে তিনি দেশে ফিরতে টিকিট কেটেছেন বলে আদালতকে জানানো হয়েছে। এদিকে তিনি দেশে ফেরামাত্র তাকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আত্মসাতের অর্থ উদ্ধারে সহযোগিতা করতে নিরাপদে তার দেশে ফেরার নিশ্চয়তা চেয়ে হাইকোর্টে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) এর টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা করতে নিরাপদে দেশে ফিরতে চান তিনি। এ তথ্য মঙ্গলবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চকে জানিয়েছেন আইএলএফএসএল-এর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। এ অবস্থায় আদালত আগামীকাল বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য উপস্থাপন এবং আদেশের জন্য রেখেছেন।
এর আগে নিরাপদে দেশে ফিরে আদালতের হেফাজতে যাবার জন্য গত ৭ সেপ্টেম্বর আবেদন করা হয়। ওই দিন আদালত পিকে হালদার কবে, কখন, কিভাবে ফিরতে চান তা আইএলএফএসএল-কে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়। এ অবস্থায় মঙ্গলবার এ তথ্য আদালতকে জানানো হয়।
হাইকোর্ট গত ১৯ জানুয়ারি এক আদেশে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, এমডি, বহুল আলোচিত পিকে হালদারসহ ১৩ পরিচালকের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ, সকল সম্পদ ক্রোক করার নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পিকে হালদারের মা, স্ত্রী, ভাইসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ, সকল সম্পদ ক্রোক করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া পিকে হালদারসহ এই ২০ জনের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় এবং তাদের গত ৫ বছরের আয়কর রিটার্ন হাইকোর্টে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই প্রতিষ্ঠানের ৭ আমানতকারীর করা এক আবেদনে এ আদেশ দেন হাইকোর্টের কম্পানি আদালত। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আইএলএফএসএল-এর দুইজন পরিচালক আপিল বিভাগে আবেদন করলেও আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এ অবস্থায় পিকে হালদার দেশ থেকে পালিয়ে যান।