বিধান সভায় মোদির পদত্যাগ দাবি করলেন মমতা

momota

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগ দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। তাই অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পদত্যাগ করা উচিত।

বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিধানসভায় পেশ হওয়া প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষি আইনের বিরোধিতায় মমতা বলেন, হয় এই তিনটি বিল প্রত্যাহার করো, নয় সরকার গদি ছাড়ো।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা আর বলেন, ‘কেউ সরকার বিরোধী আন্দোলন করলেই তাকে সন্ত্রাসবাদী বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২৬ জানুয়ারি কয়েকটা ছোট ঘটনার জন্য কৃষকদের দেশদ্রোহী, খালিস্তানি বলা হচ্ছে। এর তীব্র বিরোধিতা করছি।’
কেন্দ্রের কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশের জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে তৃণমূল সরকার। এদিন প্রস্তাবের পাশে দাড়ানোর জন্য বাম – কংগ্রেসসহ বিরোধীদের আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।

হিন্দুস্তান টাইমসে খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাব আনে সরকারপক্ষ। কেন্দ্রের নয়া ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় প্রস্তাবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় সেই প্রস্তাব পেশ করতে শুরু করলে, হই হট্টগোল জুড়ে দেন বিজেপি বিধায়করা। ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। এরপর প্রস্তাবের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীন-ই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। সবমিলিয়ে ধুন্ধমার বেধে যায় বিধানসভায়।

জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাব পেশ করতে শুরু করলে বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। সেই স্লোগানে যোগদান করেন কংগ্রেস বিধায়ক দুলাল বরও, যিনি এখন বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এই হট্টগোলের মধ্যেই সরকার পক্ষের আনা প্রস্তাবের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা খুব দুঃখের বিষয় যে কেউ আন্দোলন করলে, সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়ে সেই আন্দোলন ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।

২৬ জানুয়ারি পুলিশের ইনটিলিজেন্স ফেলিওর ছিল। পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। একটা-দুটো ছোট ঘটনা আন্দোলনের মধ্যে হতেই পারে, কিন্তু তার জন্য কৃষকদের দেশদ্রোহী, খালিস্থানি বলার তীব্র বিরোধিতা করছি।

তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘আগে দিল্লি সামলা, তারপর বাংলা।’

পরে ‘জয় জওয়ান, জয় কিসান, জয় হিন্দ, জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।