ভোট শেষে সবাই আবার ভাই ভাই হয়ে যাবো: কাজী হায়াৎ

‘ক্যামেরার পেছনে আমার মৃত্যু হলে সেটা হবে সৌভাগ্যের। আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত সবকিছু সিনেমার তৈরি। এখনও খেয়ে পরে বেঁচে আছি সিনেমার টাকায়’

করোনা মুক্ত হলেও পুরোপুরি সুস্থ হননি বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াৎ। শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও শুক্রবার দুপুরের পর তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচনে উপস্থিত হয়েছেন।

চলমান পরিচালক সমিতির নির্বাচনে কাজী হায়াৎ সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটের এই বিশেষ দিনে তাই কেন্দ্রে না এসে থাকতে পারেননি বলে জানান।

তিনি জানান, করোনা মুক্ত হলেও পুরোপুরি সুস্থ নন। তার শরীরে একাধিক সমস্যা রয়েছে।

কাজী হায়াৎ বলেন, এখনও শ্বাসকষ্ট রয়েছে। শরীর প্রচণ্ড দুর্বল। ঠিকমত চলাফেরা করতে পারছি না। এখনও চিকিৎসকের পরামর্শে চলছি। লান্স ৫৫ ভাগ ড্যামেজ, সেখান থেকে রিকভারি করা হচ্ছে। বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। আমার নির্বাচন হচ্ছে বলে না এসে পারলাম না।

অসুস্থতা নিয়েও ভোটকেন্দ্রে না এলে হতো না? এমন প্রশ্নের জবাবে ‘বীর’ নির্মাতা কাজী হায়াৎ বলেন, কেন আসব না এফডিসিতে? আমি মনে করি ক্যামেরার পেছনে আমার মৃত্যু হলে সেটা হবে সৌভাগ্যের। আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত সবকিছু সিনেমার তৈরি। এখনও খেয়ে পরে বেঁচে আছি সিনেমার টাকায়। তাই সিনেমার সাথে মারা গেলে নিজেকে আমি ভাগ্যবান মনে করবো।

গত মার্চে করোনা আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহ দুয়েক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ‘ইতিহাস’ এর নির্মাতা কাজী হায়াৎ। তখন তার অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। হাসপাতালে থাকার কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেননি।

তবে এতে আফসোস নেই ‘অন্যমানুষ’ এর এই নির্মাতারা। জানালেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রার্থী সোহানুর রহমান সোহান, শাহীন সুমনসহ অনেকেই আমার খোঁজ নিয়েছেন। যারা আমাকে ভালোবাসেন তারা ঠিকই আমাকে ভোট দিবেন। ভোট শেষে কাল থেকে আমরা সবাই আবার ভাই ভাই হয়ে যাবো।

করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি’র দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০২১-২০২২ সালের মেয়াদের নির্বাচনে এবার ১৯টি পদের বিপরীতে মোট ৪৩ জন পরিচালক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৬১ জন। শুক্রবার (২ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আছেন আব্দুল লতিফ বাচ্চু। এ ছাড়াও তার সঙ্গে সহযোগী দুই কমিশনার হিসেবে আছেন আ স ম শফিকুর রহমান ও ডি এইচ নিশান।

নির্বাচনে আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পরিচালক দেওয়ান নজরুল। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা দেবু ও মতিন রহমান।