হামাসের হামলায় ইসরাইলে নিহত ৭, তিনজনই আরব-মুসলিম

ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলার জবাব দিতে সোমবার রাত থেকে হামাস সহস্রাধিক রকেট নিক্ষেপ করেছে ইসরাইলে।

ইহুদিবাদী দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিয়ে কয়েকশ’ রকেট ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে গিয়ে আঘাত হানে। খবর জেরুজালেম পোস্টের।

এ পর্যন্ত হামাসের হামলায় ৭ ইসরাইলি নিহতের কথা স্বীকার করেছে তেলআবিব। এদের মধ্যে তিনজনই আরব-মুসলিম।

ইসরাইলের লুদ শহরটির বেশির ভাগ বাসিন্দাই মুসলিম। মঙ্গলবার হামাসের রকেট হামলায় মেয়ে নাদিনসহ লুদ শহরের খলিল আওয়াদ নামে আরব-মুসলিম নিহত হন।

হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত যে ৭ জন মারা গেছেন, তারা হলেন- লেহ ইয়োম টভ (৬৩), খলিল আওয়াদ (৫২), তার মেয়ে নাদিন আওয়াদ (১৬), ভারতীয় নাগরিক সৌম্য শন্তোষ (৩০), নিলা গুরেভিৎজ (৮০), ওমর তাবিব (২১) ও ইদো আবিগাইল (৫)।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী। গত সোমবার থেকে ইসরাইলের অব্যাহত বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ১৬ শিশুসহ ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ৮৬ শিশু ও ৩৯ নারীসহ গুরুতর আহত হয়েছেন ৩৬৫ জন।

এদিকে অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ৩৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। গাজার পুলিশ সদরদফতর ও নিরাপত্তা ভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

অপরদিকে, ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখার রকেট হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ৭ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইসরাইলি সৈন্য রয়েছেন। বাকিরা সবাই বেসামরিক ব্যক্তি।

এছাড়া হামাসের হামলায় অন্তত ১০০ জন ইসরাইলি আহত হয়েছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে প্রায় দেড় হাজার রকেট হামলা চালিয়েছে গাজা।

ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় তিনটি বহুতল ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার কালো ধোয়া গাজা শহর আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এসব হামলায় হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা সংগঠনটির ১৭ জন নেতা নিহত হয়েছেন।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন গাজা শহরে হামাসের ব্রিগেড কমান্ডারসহ ১৫ জন হামাস নেতাকে বুধবারই হত্যা করা হয়েছে।