আর্জেন্টিনাকে স্পর্শ করলেই ৮২ বছরের রেকর্ড ভাঙবে ইতালি

নতুন এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে ইতালি ফুটবল দল। টানা ৩০ ম্যাচে অপরাজিত ইতালি। নিজেদের রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় উঠে যাওয়ার কীর্তিটা এ মুহূর্তে হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাদের।

এর আগেও ইতালি আন্তর্জাতিক ফুটবলে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত ছিলো। কিন্তু সেটি সেই ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যকার সময়ের কথা। এরপর পেরিয়ে গেছে ৮২ বছর। তবে ইউরোয় নিজেদের গ্রুপ পর্যায়ের তিনটি ম্যাচেই দাপট দেখিয়ে সেই পুরোনো রেকর্ডটি স্পর্শ করেছে তারা। এবারের ইউরোর সবচেয়ে সুসংহত দল মনে করা হচ্ছে ‘আজ্জুরি’ ইতালিকেই।

এখনো পর্যন্ত ইউরোর প্রথম পর্বের তিনটি ম্যাচে ইতালি গোল করেছে ৭টি। এখনো পর্যন্ত কোনো গোল খায়নি তারা। এবার এমন সাফল্যে ইতালির পাশে রয়েছে কেবল ইংল্যান্ডই। ইউরোর কথাই বা কেবল বলা হবে কেন! সবশেষ ১১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে যেকোনো গোলই খায়নি ইতালি! ভাবা যায়! ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্তুগালের বিপক্ষে ইউরোপীয় নেশনস লিগের ম্যাচে হারের পর হারা, গোল খাওয়া—এসব যেন ভুলেই গেছে ইতালি।

শনিবার (২৬ জুন) লন্ডনে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি হবে ইতালি। ইউরোর দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ। শিরোপা-স্বপ্ন পূরণের পথে অনেকটা দূর এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যের মধ্যেও মানচিনিদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে ৮২ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে নতুন করে ইতিহাস গড়ার।

মানচিনি এখন বসেছেন ভিত্তরিও পোজ্জোর পাশে। তিনি ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে ৩০ ম্যাচ জয়ী ইতালীয় দলের কোচ ছিলেন। তার নেতৃত্বে ইতালি তখন ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপ ও ১৯৩৬ অলিম্পিকের ফুটবলে সোনা জিতেছিলো। মানচিনি নিশ্চয়ই চাইবেন ভিত্তরিও পোজ্জোর মতোই বড় কোনো প্রতিযোগিতা জয়ের গৌরব গায়ে মাখতে! পোজ্জো জিতিয়েছিলেন বিশ্বকাপ আর অলিম্পিক। মানচিনি না হয় ইউরোই জেতালেন!

আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড অবশ্য ব্রাজিল আর স্পেনের। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত রোমারিও-দুঙ্গা-তাফারেল-বেবেতোদের ব্রাজিল দল অপরাজিত ছিলো টানা ৩৫ ম্যাচ। স্পেন ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত ছিলো ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে। ব্রাজিল নিজেদের অজেয় সময়ে ১৯৭০ সালের পর প্রথমবারের মতো ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিলো। স্পেন ২০০৭ থেকে ২০০৯ এর মধ্যে জিতেছিলো ইউরো ২০০৮’র শিরোপা।

আর্জেন্টিনা ৩১ ম্যাচ জিতেছে। সেটি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে। মজার ব্যাপার, সেই সময়ই আর্জেন্টিনা শেষবারের তো কোনো আন্তর্জাতিক ফুটবল আসরের শিরোপা জয় করেছিলো (১৯৯৩ কোপা)।