যশোর সদর হাসপাতালের ধোপার কাজ সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা

jessore hospital

যশোর ২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতারের ধোপার কাজ একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জাল জালিয়াতি আর ক্ষমতাশীন দলের একটি ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতার পরিচয়ে এই চক্রটি জাল কাজপত্র তৈরির মাধ্যমে টেন্ডার হাতিয়ে নেবার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ ২১-২২ অর্থ বছরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালের ধোপার কাজের জন্য ১৫ জুলাই টেন্ডার আহ্বান করে। ১০ আগস্ট টেন্ডার খোলা ও বাছাই করা হয়।

কিন্তু এই প্রতারক চক্রটি নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে জাল কাগজ তৈরি ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কাজটি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। এই চক্রটির কারনে প্রকৃত ঠিকাদাররা কাজ না পাবার আশঙ্কা করছে।

আবার এই চক্রটি প্রকৃত ঠিকাদারদের এই কাজ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে হুমকি ধামকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, এই প্রতারক চক্রটি ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের ঠিকানায় গাজী লন্ড্রি নামে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দরপত্রে অংশ গ্রহন করেছে।

কিন্তু ওই নামে ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে কোন লন্ড্রি নেই। তিন নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার মোকসিমুল বারি অপু জানিয়েছেন, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে এই নামে কোন লন্ড্রি নেই। হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি জাল কাগজপত্র পৌরসভায় জমা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন যা আইনত অপরাধ।

গাজী লন্ড্রিকে দেয়া প্রত্যয়ন পত্রে স্বাক্ষর করা ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার রাশেদ আব্বাস রাজ বলেছেন, তাকে প্রতারনা করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই প্রত্যয়ন পত্রে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে।

কিভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হলো এ বিষয়ে জানতে পৌর মেয়র হায়দার গনি খান পলাশের মোবাইলে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে তাকে টেক্স করা হলেও তিনি কোন জবাব দেননি। অভিযোগে জানা গেছে , এই গাজী লন্ড্রি ঘোপ সেন্ট্রাল রোড ঠিকানা ব্যবহার করলেও,

প্রকৃত পক্ষে তারা ঘোপ জেল রোড বউ বাজার ধান পট্টির ইসমাইল লন্ড্রির সাইনবোর্ড নামিয়ে টেন্ডারে অংশ নিতে গাজী লন্ড্রির সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে প্রতারনা আশ্রয় নিয়েছে। ইসমাইল লন্ড্রির প্রকৃত মালিক হচ্ছেন মোঃ খলিল। তিনি আগে ধানের ব্যবসা করতেন। ধানের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার পর তিনি ইসমাইল লন্ডি করেন।

প্রায় ১৫ বছর ধরে খলিল লন্ড্রির ব্যবসা করেন। তার ট্রেড লাইসেন্স নং – ০১১৬৩। এদিকে যশোর পৌর সভা থেকে বলা হয়েছে, এই দুটি ট্রেড লাইসেন্সের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে দুটি টেড্র লাইসেন্সই বাতিল করা হবে।

এ বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আক্তারুজ্জামানকে মোবাইল করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে মোতালেব হোসেন নামে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমারা বিষয়টি যাচাই বাছাই করছি।