আফগানিস্তানকে সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান চীনের

নগদ অর্থের চরম সংকটে থাকা আফগানিস্তানকে ফের আর্থিক সহায়তা দিতে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।

দক্ষিণ এশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের স্বার্থে তিনি আন্তর্জাতিক দুই সংস্থার প্রতি ওই আহ্বান জানান বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ১৫ আগস্ট কাবুল পতনের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান।

এরপরই দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার জব্দ করে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা আফগানিস্তানের তহবিলের প্রবেশাধিকার স্থগিত করে। অবশ্য পরিমাণে আগের মতো না হলেও আফগানিস্তানে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার মানবিক সহায়তা পাঠানো অব্যাহত রয়েছে।

এমন পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তানের ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাংকে অর্থাভাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা কয়েক মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। খাদ্যের দাম সাধারণ জনগণের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে।

মঙ্গলবার আইএমএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি বছরে আফগান অর্থনীতির ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সংকোচন ঘটবে। আর এতে শরণার্থী সংকট প্রকট আকার ধারণ করার শঙ্কা রয়েছে।

আফগানিস্তানের প্রতিবেশি দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিওতে আলাপের সময় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলেন, সব ক্ষেত্রেই আফগানিস্তানের সহযোগিতা প্রয়োজন। উন্নয়ন দেশটির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

আফগানিস্তানের ওপর থেকে একতরফা নিষেধাজ্ঞা তুলতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশের প্রতি ফের আহ্বান জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং। একই সঙ্গে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় আফগানিস্তানকে আরও টিকা ও চিকিৎসা সামগ্রী দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

চীনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বলা হয়, আফগানিস্তানে তিন কোটি ডলার মূল্যের জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠাবে বেইজিং। আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে বিচ্ছিন্ন না করে বরং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে চীন।

এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলেন, আমার মনে হয়েছে, বহির্বিশ্বের সঙ্গে আলোচনা ও সহযোগিতায় আগ্রহী তালেবান। এ বিষয়ে তাদের যথেষ্ট আন্তরিক লেগেছে।