বেইজিং থেকে প্রতিদিনই হুমকি বাড়ছে: তাইওয়ান

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকে আরও একটু উস্কে দিল তাইওয়ান। মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন জানান, বেইজিং থেকে প্রতিদিনই হুমকি বাড়ছে। এ সময় দেশটিতে ট্রেইনিং-এর জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীর অবস্থানের কথাও জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাই ইং-ওয়েন জানান, চীনের দক্ষিণ-পূর্বের সীমান্ত থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তাইওয়ান। দেশের মানুষের গণতন্ত্রের ওপর আস্থা ধরে রাখতেই আমাদের একে রক্ষা করতে হবে।

প্রায় সাত দশক ধরে নিজস্ব রাষ্ট্রব্যবস্থায় চললেও এখনো তাইওয়ানের ওপর নিজেদের সার্বভৌমত্বের দাবি করছে বেইজিং। তাদের এমন দাবির জবাবেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করছে তাইওয়ান।

সাই ইং-ওয়েন জানান, এই দ্বীপের প্রায় ২৩ মিলিয়ন জনগণ নিজেদের অবস্থা এবং রাষ্ট্রের উন্নয়নে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে, যেন তারা একটি আদর্শ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বসবাস করতে পারে। এখন যদি আমরা এ লড়াইয়ে হেরে যাই, তাহলে দেশের জনগণ নিজেদের সামর্থ ও দেশের গণতন্ত্রের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে।

এর আগে তাইওয়ান চীনের চাপের কাছে মাথা নত করবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের জাতীয় দিবসের সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, তাইপে তারাহুড়ো করে কোনো কিছু করবে না।

পাশাপাশি এমন কোনো ভুল ধারণা থাকা উচিত নয় যে, তাইওয়ানের জনগণ কোনো চাপের মুখে মাথা নত করবে। আমরা আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা অব্যাহত রাখবো।

আত্মরক্ষার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় প্রদর্শন করবো। যেন কেউ তাইওয়ানকে চীন আমাদের জন্য যে প্রস্তাব দিয়েছে তা মেনে নিতে বাধ্য করতে না পারে, যোগ করেন তিনি।

দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্ট বলেন, এর কারণ হলো- চীন আমাদের জন্য যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটি একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক জীবনযাপনের অধিকার দেয় না। প্রস্তাবটিতে আমাদের ২৩ মিলিয়ন জনগণের জন্য কোনো সার্বভৌমত্বও নেই।

স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে এক দেশ, দুই সিস্টেম মডেলের প্রস্তাব দিয়েছে চীন। হংকংয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ের যেমন সম্পর্ক অনেকটা তেমনই। তবে তাইওয়ানের সব রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।