যশোরে বিদ্রোহী প্রার্থীরা পাস করলেও দলে ফেরত নেয়া হবে না

যশোর জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম ইসলাম মিলন বলেছেন, যশোরে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা পাস করলেও তাদের দলে কখনো ফেরত নেয়া হবে না।

একইসাথে যারা দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। সোমবার প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুম রেজা খানের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক দের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে পাশাপাশি বিএনপি ভোটে না থাকার কারনে দলে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এসব বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিবৃত্ত করতে আমরা সাংগাঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করছি।

ইতিমধ্যে শার্শার বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিস্কার করা হয়েছে। বাকি বাঘারপাড়া ও মনিরামপুর উপজেলার যারা দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ভোট করছে সেসব প্রার্থীদেরও আজকালের মধ্যে বহিস্কার করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা মনোনয়ন পাচ্ছে তা সবই কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন বন্দবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের বিদ্রাহী প্রার্থী মাসুম রেজা খান। এসময় তিনি উল্লেখ করেন আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্র পার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলাম।

এটি দলের বিরুদ্ধে নয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কেননা ওই ইউনিয়নে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি বিএনপি থেকে আসা। যে কারনে আমি আওয়ামীলীগের পরিবারের সন্তান হিসেবে মেনে নিতে পারিনি।

বিএনপি পরিবারের থেকে আসা কোন ব্যক্তি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলে সেটা পরীক্ষিত আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীগের বঞ্চিত করা হয় কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ বিএনপি থেকে আমাদের দলে আসতে পারবেনা এমন কোন বিধান নেই।

অনেকেই বিএনপি থেকে এসে দলের বিভিন্ন পদ পদবী পেয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুম রেজা বলেন, আমি যে দলের নীতি ও আদর্শ ধারণ করি সেই দলীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নৌকার পক্ষে অবস্থান নিতে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়াচ্ছি।