পার্লামেন্টে বসে পর্নোগ্রাফি দেখার অভিযোগ

যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের এক সংসদ সদস্য পার্লামেন্টে বসেই পর্নোগ্রাফি দেখছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পার্লামেন্টের একটি বৈঠকে নারী সংসদ সদস্যরা নিজেদের যৌনতা এবং হয়রানি বিষয়ক অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলার সময় এই অভিযোগ তোলা হয়। যদিও এখনো এই সংসদ সদস্যের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি।

একজন নারী মন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত সংসদ সদস্যের পেছনে বসার সময় তিনি তাকে পর্নোগ্রাফি দেখতে দেখেছিলেন। গত সপ্তাহে একটি নির্বাচন কমিটির শুনানির সময় এই ঘটে বলে দ্য টাইমস জানিয়েছে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আরেক নারী সদস্য জানান, তিনিও ওই একই ব্যক্তিকে আরেকটি পার্লামেন্টে পর্নোগ্রাফি দেখতে দেখেছেন। এমনকি ওই ঘটনার ছবি তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বলে জানিয়েছেন ওই নারী এমপি।

এ ব্যাপারে কনজারভেটিভ পার্টির এমপি পলিন ল্যাথাম বিবিসিকে বলেন, বৈঠকে উপস্থিত বেশ কয়েকজন সাংসদ এই ঘটনায় ‘হতবাক’ হয়ে যান। অনেকেই ‘বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে সত্যিই একটি পেশাদার জায়গায় এমন কিছু ঘটতে পারে’।

পলিন ল্যাথাম আরও বলেন, ওই সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি সংসদের পদের পাশাপাশি কনজারভেটিভ পার্টির পদও হারাবেন।

গ্রিন পার্টির একজন সাংসদ আরও জানিয়েছেন, টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে যে মোট ৫৬ জন সংসদ সদস্য যৌন অসদাচরণের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন এবং এমনকি প্রধানমন্ত্রী কেও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এই কারণে বরখাস্ত করা হবে হতে পারে কী না।

জবাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছিলেন, যৌন হয়রানি মোটেও ‘বরদাস্ত’ করার মতো নয় এবং এই কারণে বরখাস্ত করা হতে পারে।