স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে কাজ করছি : প্রধানমন্ত্রী

sk hasina
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সরকার বদ্ধপরিকর গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে ।

তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে কাজ করছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি ও বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। গত ১৩ বছরে আমরা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি।

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ বিশ্বের ৩১তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, অর্থনীতির আকার ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিয়েছি। গ্রামের মানুষ সকল নাগরিক সুবিধা পাচ্ছে। দেশের কেউ যাতে গৃহহীন না থাকে সেজন্য আমরা গৃহহীনদের জন্য বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ জুন এক অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬-দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়।

ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা আদায়ের লক্ষ্যে এ দিন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, আবুল হোসেন, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহিদ হন।

তিনি বলেন, পূর্ব বাংলার ফরিদ আহমদও প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম পাকিস্তানের কয়েকটি পত্রিকা এ দাবি সম্পর্কে উল্লেখ করে বলে যে পাকিস্তানের দুটি অংশ বিচ্ছিন্ন করার জন্যই ৬-দফা দাবি আনা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাংবাদিক সম্মেলন করে এর জবাব দেন। ১১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে তিনি ৬-দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন। বাংলার জনমানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ৬-দফার প্রতি সমর্থন জানায়। ৬-দফা হয়ে উঠে দেশের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬-দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার ৬-দফার রূপকার বঙ্গবন্ধুকে ৮ মে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। কিন্তু ৬-দফা বাঙালির প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৬-দফার প্রতি বাঙালির অকুণ্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। জাতির পিতার ২৩ বছরের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। ইনশাল্লাহ, ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বে বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ ও আধুনিক রাষ্ট্র। ৭ জুনের শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে বিনির্মাণ করব জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।