যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড বাইলেন পিলুখান সড়কের একটি বাড়িতে চুরির ঘটনার ১১ দিন পর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। গৃহকর্মী বাড়ির আলমারি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এঘটনায় ঘোপ সেন্ট্রাল রোড বাইলেন পিলুখান সড়কের আব্দুল কাদেরে ছেলে মনিরুজ্জামান (৪৫) মামলা করেন। মামলায় বাড়ির কেয়ারটেকার ও গৃহকর্মীসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলার আসামিরা হচ্ছে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার কলবাড়ি গ্রামের মজিবর রহমান গাজির ছেলে আমিনুর রহমান (২৫) আমিনুর রহমানের স্ত্রী তানিয়া সুলতানা (২২) সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মুজিবর রহমান গাজি (৫০) ও সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার কলবাড়ি গ্রামের মুজিবর রহমান (৫৫)।
মামলায় বলা হয়েছে, আমিনুর রহমান ও তানিয়া সুলতানা স্বামী-স্ত্রী। পিলুখান রোডে মনিরুজ্জামানের সাততলা বাড়ির নীচতলায় বসবাস করতো। আমিনুর রহমান, মনিরুজ্জামানের বাড়ির কেয়ারটেকার ও স্ত্রী তানিয়া সুলতানা গৃহকর্মীর কাজ করতো। মনিরুজ্জামান তাদের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা দেখতো ও বেতন দিত। আসামি আমিনুর রহমান তার মায়ের অসুস্থতার কথা বলে মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা অগ্রিম নেয়। আমিনুরের স্ত্রী তানিয়া প্রতিদিনের মতো ১৮ আগস্ট রাতে মনিরুজ্জামানের ঘরের কাজ করে তাদের ঘরে চলে যায়। মনিরুজ্জামান তার ঘরে শুয়ে পড়ে। পরের দিন ১৯ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫ টায় মনিরুজ্জামান ঘুম থেকে উঠে দেখে তার সিসি ক্যামেরা বন্ধ। বিষয়টি সন্দেহ মনে হলে মনিরুজ্জামান স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে আমিনুর ও তানিয়াদের ঘরে যেয়ে দেখে বাইরে থেকে তাদের ঘরের ছিটকানি দেয়া। ঘরের ভিতরে যেয়ে দেখি তাদের কোন মালামাল নেই। এ সময় মনিরুজ্জামান ঘরের যেয়ে দেখে তার আলমারিতে রাখা নগদ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা ও প্রায় ৪ ভরি স্বর্ণালংকার নেই। ১৮ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ থেকে ১৯ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে যে কোন সময় আসামিরা যোগ সাজস করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ ৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। মনিরুজ্জামান খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন আসামি মজিবর গাজি ও মুজিবর রহমান চুরির কাজে সহায়তা করেছে। চোরদের খোঁজ করে না পেয়ে থানায় মামলা করা হয়।