যশোর-সাতক্ষীরা ভায়া কেশবপুর সড়কে বাস মালিক সমিতির সন্ত্রাসী রামরাজত্ব কায়েম

যশোর-সাতক্ষীরা ভায়া কেশবপুর সড়কে সন্ত্রাসী আর মাতালের রামরাজত্ব কায়েম করেছে যশোর বাস মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাবলু ওরফে কালা বাবলু। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কে নিজস্ব বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছেন। সম্প্রতি এই সড়কে সড়ক সেক্রেটারি পদে নির্বাচনের জন্য ৪৭ জন মালিক লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। কিন্তু সেই আবেদনকে তিনি থোড়াই কেয়ার করে চলেছেন সভাপতি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যশোর-সাতক্ষীরা ভায়া কেশবপুর সড়কে তিনটি মালিক সমিতির পরিবহন চলাচল করে। মালিক সমিতি তিনটি হলো যশোর বাস মালিক সমিতি, যশোর মিনিবাস-বাস মালিক সমিতি ও কেশবপুর বাস মালিক সমিতির যান চলাচল করে থাকে। এরমধ্যে যশোর মিনিবাস-বাস মালিক সমিতি ও কেশবপুর বাস মালিক সমিতির নিজস্ব লাইন সেক্রেটারি রয়েছে। কিন্তু যশোর বাস মালিক সমিতির কোন লাইন সেক্রেটারি নেই। এই রুটে যশোর বাস মালিক সমিতির ৬২ জন পরিবহন মালিক তাদের যান চালনা । এ রুটে যশোর বাস মালিক সমিতির মালিকরা নানাভাবে হয়রাণি হয়ে আসছেন। যে কারণে ৪৭জন মালিক লিখিতভাবে লাইন সেক্রেটারি পদে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন।

সূত্র জানায়, এই রুটে যশোর বাস মালিক সমিতির নব্য সভাপতি বদিউজ্জামান বাবলু নিজস্ব বাহিনী দিয়ে পরিচালনা করে আসছে। দীর্ঘ দুই বছর ধরে চার সদস্যের বাহিনী দিয়ে তিনি এই রুট পরিচালনা করছেন। এই বাহিনীর চার সদস্য হলেন কালা অসিম ওরফে মাতাল অসিম, জালাল ওরফে খুড়া বুড়ো, মাসুম ওরফে মিটমিটে মাসুম ও এনামুল ওরফে ককটেল এনামুল। এই বাহিনীর সদস্যদের অত্যচারে সাধারণ বাস মালিকরা অতিষ্ঠ। বাহিনীর সদস্যরা সাধারণ বাস মালিকদের নানাভাবে অত্যাচার করে থাকে। বাস মালিকরা প্রতিনিয়ত অপমান-অপদস্তসহ লাঞ্ছিতও হয় এই বাহিনীর সদস্যদের হাতে। বিষয়টি বেশ কয়েকবার মালিক সমিতির কাছে জানানো হলো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে করে বাহিনীর সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এজন্য সাধারণ বাস মালিকরা লাইন সেক্রেটারি পদে নির্বাচনের জন্য জোট বদ্ধ হয়েছেন।
বিষয়টি জানার জন্য যশোর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফ চাকলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে সভাপতি ভালো বলতে পারবে। সাধারণ মালিকদের পক্ষ থেকে একটি আবেদন করেছে। এনিয়ে নির্বাহী কমিটির মিটিং-এ তোলা হবে।

যোগাযোগ করা হলে সভাপতি বদিউজ্জামান বাবলু বলেন, লাইন সেক্রেটারি নির্বাচন সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারবো না। কমিটি যে সিদ্ধান্ত দেবে তাই হবে। বিষয়টি কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তোলা হবে, সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে।