বেনাপোলে প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে জখম নুর আলম মারা গেছে

প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে গুরুতর জখম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বেনাপোল পোর্ট থানার আমড়াখালী ওয়ার্ড এর সহ সভাপতি নুর আলম মারা গেছে। নুর আলম একই গ্রামের সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ি একাধিক মামলার আসামী বাবুর দায়ের কোপে মারাতœক আহত হয়। তার পেটের ভুড়ি বের হয়ে যায়। তাকে খুলনা ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি ভর্তির তিন দিন পর মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে মারা যায়।
নুর আলম এর স্বজন মুন্নি বেগম জানান, গত ২৮ তারিখ রাত্রে আমড়াখালীর ইমান আলীর ছেলে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ধরালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে আমড়াখালী মোড়ে শত মত মানুষের মাঝে কুপিয়ে পেটের ভুড়ি বের করে দেয়। তাকে দ্রুত শার্শা ও খুলনা মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার তিন দিন পর সে ওই হাসপাতালে মৃত্যু বরন করে। ওই ঘটনায় বাবু তার বাহিনী দিয়ে নুর আলম সহ মোট ৭ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করে। নুর আলম এর ভাই শাহ আলম এর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকেও খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায় বাবু একজন চোরাচালানী এবং সন্ত্রাসী। সে বিএনপির একজন সক্রিয় ক্যাডার । তার নামে বেনাপোল শার্শা থানায় কয়েকটি মামলাও আছে। তার বাড়ি থেকে বিজিবি সদস্যরা একাধিক বার ফেনসিডিল সহ অন্যান্য মাদক দ্রব্যও উদ্ধার করেছে। বাবু সম্প্রতি নুর আলম ও শাহআলম এর মাথা কেটে ফুটবল খেলার ঘোষনা দেয়।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া বলেন, ওই এলাকায় ঘটনার দিন থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। নুর আলম মারা গেছে তিনি শুনেছেন । অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।