যশোরে যুবদল নেতা ধনি হত্যা মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিলেন আসামি আকাশ

যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধনি হত্যা মামলার আসামি আকাশ আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে। শামীম আহম্মেদ মানুয়ার নির্দেশে তার ভাগ্নে রায়হান মুন্সির নেতৃত্বে তারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল বলে জানিয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম আসামির এ জবানন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আকাশ শহরের শংকরপুর আশ্রম রোডের আব্দুল আলিমের ছেলে। এর আগে মানুয়ার ভাগ্নে রায়হান মুন্সি আদালহে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে।
আকাশ জানিয়েছে, শামীম আহম্মেদ মানুয়ার জামাই ইয়াসিন সন্ত্রসীদের হাতে খুন হয়। জামাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিয়ে ধনিকে হত্যার পরিকল্পনা করে মানুয়া। এরপর তার ভাগ্নে রায়হান মুন্সিকে দায়িত্ব দেয় ধনিকে সায়েস্তা করতে। ঘটনার দিন ধনি মোড়ের একটি ফার্মেসির সামনে দাড়িয়ে কথা বলছিল। রিজভি বিষয়টি নিশ্চিত করলে আকাশ, রায়হান, মন্টু, ইছাসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধনিকে গালিগালাজ করে। এরমধ্যে ধনি দৌড় দিলে রায়হান ধাওয়া করে ছুরি মারে। আকাশ দা দিয়ে পায়ে কোপ মারলে ধনি পড়ে যায়। এরপর সকলে মিলে ধনিকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আকাশ শুনেছে ধনি মারা গেছে।
গত ১২ জুলাই প্রকাশ্য দিবালোকে শংকরপুর আকবরের মোড়ে নিজ বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধনি। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান মনি ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত আরো ৫/৬ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারনামীয় আসামি আকাশ গত বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই আনছারুল হক আসামি আকাশের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। বুধবার (৩১ আগস্ট) আসামি আকাশের রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আকাশ হত্যার সাথে নিজে ও অপর আসামিদের নাম উল্লেখ করে আদালতে ওই স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে।