যশোরে ঠিকাদারদের মানব বন্ধন

jessore map

যশোর জেলা এলজিইডি কন্ট্রাকটর ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ জেলা এলজিইডি ও সকল উপজেলার টেন্ডার বয়কট করার আহবান জানিয়েছেন। বাজার দরের সাথে সামঞ্জস্য না রেখে
নতুন রেটে সিডিউল ২০২২ প্রণয়ন ও বর্তমান নির্মাণ সামগ্রীর লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আহবান জানান তারা। একই সাথে অফিসের সামনে ঠিকাদাররা মানববন্ধন করেন।

জেলা এলজিইডি কন্ট্রাকটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউলহক বিন্দু বলেছেন, বর্তমানে নির্মান সামগ্রীর দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারী কাজের সামগ্রীর দাম সরকারি ভাবে যা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তার চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। একাজে অর্থ বরাদ্দ কম করে ঠিকাদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার কাজ শেষ করে খরচের হিসাব বিল জমা দেয়া হলেও দীর্ঘ সময় লাগে ঠিকাদারদের টাকা পেতে। এতে করে ঠিকাদাররা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির সাথে একমত পোষণ করে বলেন সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের কাজ গুলো যে উপকরণ দিয়ে করি। তার মধ্যে বিটুমিন ও পাথর বিদেশ থেকে আমদানি করতেহয়।

পাথর আমদানিতে ব্যয় সরকারি মূল্য ১৯৩ টাকা সেপ্টী। কিনতে হচ্ছে ২৬০ টাকায় সেপ্টী, সিমেন্টে সরকারি মূল্য ৪৬০ টাকা। ঠিকাদারদের কিনতে হচ্ছে ৬২০ টাকায়, ইট সরকারি নির্ধারিত মূল্য পিস প্রতি সাড়ে ৯ টাকা। ভাটা থেকে কিনতে হচ্ছে প্রতি পিস ১৩ টাকায়। বিটুমিন ব্যারেলের সরকারি নির্ধারিত মূল্য ৯ হাজার টাকা। ঠিকাদারদের কিনতে হচ্ছে ১৩ হাজার টাকা ব্যারেল। প্রতি মালে সাড়ে ১৪ শতাংশ আয়কর ও ভ্যাট দিয়ে বেশি টাকা ব্যয় হচ্ছে। সেই সাথে শ্রমিকের মুজুরি বেশি। এসব নানা কারনে ঠিকাদাররা বিপাকে পড়ছেন। সেকারনে তারা ঠিকাদারদের টেন্ডার বয়কটের আহবান জানিয়েছে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা এলজিইডি কন্ট্রাকটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আবুসাঈদ, যুগ্ম সম্পাদক বিশ^জিৎ কুমার, সদস্য হারুন অর রশীদসহ নেতৃবৃন্দ।