দেশের উন্নয়ন বিএনপির সহ্য হয় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

jahid malek
ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশে আরেকটি দলও আছে, তা হলো বিএনপি-জামায়াত জোট। এই দল স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে, রাজাকার ও আল-বদর সৃষ্টি করেছে। সেই বিএনপি এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। উন্নয়ন সহ্য হয় না তাঁদের। পদ্মা সেতু নিজ অর্থায়নে করেছেন শেখ হাসিনা। এই সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে যাতে করতে না পারে সে জন্যও ষড়যন্ত্র করেছিল। আরও ব্যক্তিরাও এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। সেতু যখন হয়েছে তখন তাদের মনে যন্ত্রণা। সেতুর পিলার তো ওঠাতে পারে না, কিন্তু তাঁরা সেতুর কতোগুলো স্ক্রু খুলে ফেলে। উন্নয়ন করতে পারে না, কিন্তু নষ্ট করতে পারে বিএনপি।’

শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এই সম্মেলনের আয়োজন করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, সহসভাপতি আবদুল মজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন এবং মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি মৃদুলা রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা খাতুন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সিফাত কোরাইশি প্রমুখ।

জাহিদ মালেক বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর গড়া দল। মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠিত করেছে এই দল। বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে আওয়ামী লীগ। এই দল স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে এ দেশের মানুষকে স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার স্বাদ প্রথমবারের মতো দিয়েছে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শেখ হাসিনা আছেন বলেই অন্ধকার দূর হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। গ্রামের রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদশ করোনাভাইরাস মোকাবিলা করেছে। বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র হোচট খেয়েছে, তারা করোনা মোকাবিলা করতে পারেনি। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় এই মহামারি মোকাবিলা করা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম এবং এশিয়া মহাদেশে এক নম্বরে স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ যখন ভ্যাকসিন দিয়েছে, তখন আশপাশের একটা দেশও ভ্যাকসিন দিতে পারেনি।