কালীগঞ্জে ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিকে মানছেন না স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক ব্যবসায়ীরা মানছেন না স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা। এমনকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রেরিত স্মারক নং-স্বাঃঅধিঃ/হাসঃ/ভার্চুয়াল সভার/২০২২ এর পত্র অনুযায়ী দেশের সকল হাসপাতাল ও ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক ও ব্লাড ব্যাংক সমূহের সাইনবোর্ডে লাইসেন্স নাম্বার ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলেও মানছে না এই নিয়মনীতি। ডাঃ মোঃ বেলাল হোসেন পরিচালক(হাসপাতাল ও ক্লিনিক) স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক,ডায়াগনস্টিক ও ব্লাড ব্যাংকের লাইসেন্স নাম্বার,মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখসহ সাইনবোর্ডের ঝুলিয়ে দিতে হবে প্রয়োজনে কিউআর কোডসহ ডিসপ্লে করতে হবে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গত ৩ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ পান। কালীগঞ্জে ৩৫টি ক্লিনিক ও ডায়াগোনেষ্টিক সেন্টার থাকলেও আল শিফা এবং সিটি ডায়াগনেস্টিক সেন্টার,হাসনা ক্লিনিক ও ইবনে সিনা প্রাইভেট হাসপাতালের সাইবোর্ডে লাইসেন্স নম্বর লেখা দেখা গেলেও অন্যরা কেউ লেখেনি। তবে এক্ষেত্রে ঐ তিন প্রতিষ্ঠানের কোনোটিতে মেয়াদ উত্তীর্নের তারিখ লক্ষ করা যায়নি। শুধু তাই নয় ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক ব্যবসা পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক আবশ্যকীয় নিয়মনীতি যথাযথ ভাবে মানছে না কালীগঞ্জ উপজেলার অনেক প্রতিষ্ঠান।এবিষয়ে কালীগঞ্জ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগোনেষ্টিক সেন্টার ওনার এসোসিয়েশন সমিতির সভাপতি ফিরোজুল হক জানান,আমরা কোন চিঠি পায়নি। তবে ব্যপারটি আমি শুনেছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে আমরা কাজ করব। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর হোসেন জানান,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠি পেয়েছি। ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক ব্যবসায়ী সবাইকে চিঠি করে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নম্বর ও মেয়াদ উত্তীর্নের তারিখ না টাঙালে ঐ সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।