ঝিনাইদহে গৃহবধুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
দন্ডিতরা হলো- বিষয়খালী এলাকার মোহাম্মদ রসুল, শরিফুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, গোলাম রসুল, আব্দুল আজিজ, আজিজুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, বাদশা মিয়া ও আব্দুল বাতেন। এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। এছাড়াও মামলায় আনোয়ার নামের একজন মারা যাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাশ প্রদান করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের মার্চ মাসে বিষয়খালি গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে তুলে নিয়ে পাশ^বর্তি বাশবাগানে নিয়ে রাতভর ধর্ষন করে আসামীরা। পরে তারা ওই নারীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ হত্যার ঘটনায় নিহতের স্বামী আরব আলী বাদি হয়ে পরদিন ১৬ জনকে আসামী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত সেই মামলায় রায় প্রদাণ করেন।
মামলার বাদী নিহতের স্বামী আরব আলী জানান, দীর্ঘদিন পর হলেও বিচার পেয়ে আমরা খুশি। এই রায় যেন কার্যকর হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এ্যাড. বজলুর রহমান জানান, আদালত আজ রায় দিয়েছে। ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হলেও একজন মারা যাওয়ার কারনে তাকে বেকসুর খালাশ প্রদান করা হয়। সাথে বিচারক পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। তারা গ্রেফতার হলে ওই দিন থেকে সাজা কার্যকর হবে।