লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
আহতেরা হলেন হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিলন সরকার, ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, সিন্দুর্ণা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম জুয়েল, রিফান, রুমন এবং হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নূরুন্নবী কাজল, রবিউল আলী ও সিন্দুর্ণা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ। আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগের দুই নেতা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকলেও অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ২৯ অক্টোবর রংপুর বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করতে আজ দুপুরে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক সভা করেন নেতাকর্মীরা। সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে তারা হাসপাতাল মোড় এলাকার দিকে এগুতে থাকেন। অপরদিকে সিন্দুর্ণা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভা উপলক্ষে উপজেলা ছাত্রলীগ মিছিল বের করে। উভয়পক্ষ ফিলিং স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টাধাওয়া। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। আহত হন পুলিশ এবং দুপক্ষের ১০ জন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় একে অপর পক্ষকে দায়ী করছেন বিএনপি ও ছাত্রলীগ নেতারা ।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘দলীয় কার্যালয়ের সভা শেষ করে নেতাকর্মীরা বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা চালায়। এতে কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।’
হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিলন সরকার বলেন, ‘উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়নে ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভা উপলক্ষে নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। ওই মিছিলের উপর বিএনপির লোকজন লাঠি সোঠা নিয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমিসহ চার ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হই।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান হাতীবান্ধা থানার এসআই মহিদুল ইসলাম।