ঘূর্ণিঝড়ে তিন গ্রামের ১৫০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, আহত ১৫

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে তিনটি গ্রামের কমপক্ষে দেড়শ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘরের নিচে চাপা পড়ে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার গভীর রাতে উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের শ্রীনাথপুর, দুর্গাপুর ও জাহানপুর গ্রামের ওপর দিয়ে এ ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় প্রবল বেগে তিন গ্রামের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। মধ্যরাতের প্রচণ্ড ঝড়ে গ্রামের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। তিন মিনিটের ওই ঝড়ে অনেকের ঘরবাড়ি মুহূর্তেই ধসে পড়ে। শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার সময় অনেকে আহত হন। তাঁদের সুনামগঞ্জ সদর ও দিরাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে দুর্গাপুরের ইকবাল হোসেন, হাফিজ মিয়া ও রুহেনা বেগমের অবস্থা গুরুতর।
দরগাপুরের রুহেদা বেগম জানান, ঘরের বিছানাপত্র, থালাবাসন সবকিছু ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কিছুই খাওয়া হয়নি তাঁদের। এই গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, ‘আল্লায় বাছাইছইন। ঘর-দুয়ারের চিহ্ন নাই। ই অবস্থায় বাঁচার কথা নায়।’

ওই গ্রামের আসপিয়া খানম বলেন, ‘আমি আর আমার নাতি ঘরের তলে (নিচে) পড়ছিলাম, পরে টাইন্যা (টেনে) বারকরইছন (বের করেন) সকলে। ২৫০টা হাঁস আছিল, ১৩০টা পাইছি; বাকিগুন কওয়াই গেছে পায়রাম না। একটা গরু আছিল, ইটাও অখনো পাইছি না।’

শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সখিনা আক্তার, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) সখিনা আক্তার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দ্রুত তালিকা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যাঁদের ঘরবাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদেরকে সহায়তা দেওয়া হবে।