নতুনভাবে আর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ নেই : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

mojammel haque
ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক সংসদে জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম নথিভুক্ত করতে সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ ছিল। মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত না হয়ে থাকলে ভাতা দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। কোনো ব্যক্তির নতুনভাবে আর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে ভাতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ডিজিটাল সনদ না পেয়ে থাকলে আবেদন করতে পারবেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে মঙ্গলবারের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির এমপি সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেন, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কারণে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যদি তিনি নির্ধারিত ফর্মে নির্ধারিত সময়ে আবেদন না করে থাকেন, তাহলে এখন নতুনভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবেদন করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে ৬৪টি জেলায় ১ লাখ ৮২ হাজার ৩৫২টি ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং ৯৫ হাজার ২৪৫টি স্মার্ট আইডি কার্ড দেয়া হয়েছে। সমন্বিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট আইডি কার্ড তৈরির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।

আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বিতরণ আদেশ, ২০২০’-এর নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত হয়ে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা পেতে হলে উক্ত আদেশের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা’ হিসেবে বর্ণিত ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রক্ষিত ৩৩ (তেত্রিশ) ধরনের প্রমাণকের মধ্যে যে কোনো একটি প্রমাণকে নাম থাকতে হবে।

এছাড়া উক্ত আদেশের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বা সুবিধাভোগী ‘ফরম’ অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন দাখিল করতে হবে।