যশোরে স্কুল শিক্ষার্থী পাচার মামলায় এক বছর পর,গ্রেফতার-১

এক বছর এক মাস পূর্বে উমাইয় হাসান স্বর্ণা পাচারের অভিযোগে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় তিন মানব পাচারকারীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫জন উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।

রোববার ২২ জানুয়ারী দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি করেছেন, যশোর শহরের বেজপাড়া মেইন রোড বেজপাড়া মসজিদ বাড়ি-রাস্তার পশ্চিমাংশ’র বায়েজীদ হোসেনের মেয়ে শাহানা আক্তার। মামলায় আসামী করেন,শহরের বেজপাড়া মেইন রোড বেজপাড়া জামে মসজিদের উত্তর পাশের্^ কচি মোল্লার বাড়ির ভাড়াটিয়া বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ হালে খাতুন ওরফে পপির মা,বেজপাড়া মেইন রোড বেজপাড়া জামে মসজিদের উত্তর পাশের্^ কচি মোল্লার বাড়ির ভাড়াটিয়া শাকিল ও একই বাড়ির ভাড়াটির মুসার স্ত্রী ময়না বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন। মানবপাচার মামলায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ মোছাঃ হালে খাতুন ওরফে পপির মাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, বাদি একজন সহজ সরল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সাধারণ শ্রেনীর মহিলা। আসামীরা আইন অমান্যকারী নারী পাচারকারী ও নারী পাচারকারী দলের গোপন সক্রিয় সদস্য। হালে খাতুন ওরফে পপিার মা বাদির প্রতিবেশী, শাকিল পপির মার আপন ভাইপো এবং ময়না বেগম বাদির আরেক ভাইয়ের স্ত্রী।

অভিযোগে বাদির মেয়ে উমাইয়া হাসান স্বর্ণা অত্যন্ত সহজ সরল নিরীহ প্রকৃতির মেয়ে। সে স্থানীয় একটি স্কুলে ১০ শ্রেনীর পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে। স্বর্ণা ১০ শ্রেনীর ছাত্রী হওয়া সত্বেও দিনের অধিকাংশ সময় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সাথে খেলাধুলা করে সময় কাটাতো। বাদির বাড়িতে আসামীরা বসবাস করতো। বাদির মেয়ে স্বর্ণা বাদিকে কিছু না জানিয়ে গত ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর বেলা ১ টার সময় বাড়ি হতে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়িতে সব সময় যে পোশাক পরতো তাই পরে এক কাপড়ে বাড়ি হতে বের হয়ে যায়। বাদি তার আত্মীয়স্বজন সব খানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। যার নং ৮৬৮ তারিখঃ ১৮/১২/২১ইং। সাধারণ ডাইরী করার পর বাদি ও থানা পুলিশ বহু চেষ্টা করে স্বর্ণার কোন সন্ধান করতে না পেরে বাদি অত্যান্ত মর্মাহত হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

ওই ঘটনার পর থেকে শাকিল ও ময়না বেগম অন্যত্র ঘর ভাড়া করে চলে যায়। এদিকে গত কয়েকদিন পূর্বে এলাকার শায়লা বেগম তার মেয়ে শর্মিলাকে হঠাৎ খুজে না পাওয়ায় শায়লা বেগম বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজির এক পর্যায়ে জানতে পারেন যে, হালে খাতুন ওরফে পপির মা শায়লা বেগমের মেয়েকে ফুসলিয়ে পাচার করার চক্রান্ত করছে। তখন শায়লা বেগম এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় হালে খাতুনকে সামাজিকভাবে চাপ প্রয়োগ করলে হালে বেগম শায়না বেগমের মেয়ে শর্মিলাকে এনে দেয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বাদির মনে বদ্ধমূল ধারনা জন্মায়েছে যে হালে খাতুন ওরফে পপির মাসহ অজ্ঞাতনমা আসামীদের পারস্পরিক যোগসাজসে ও সহায়তায় বাদির মেয়ে স্বর্ণাকে অসৎ উদ্দেশ্যে অন্য কোনস্থানে/ অজ্ঞাতস্থানে পাচার করে দিয়েছে।

বাদি আরো বলেছেন, হালে খাতুন বাদির বাড়ির পাশে হওয়ায় তার মেয়ে স্বর্ণা খাতুনকে বিভিন্ন সময় ডেকে কথাবার্তা বলতো ও ফুসলাতো এবং প্রলোভন দেখাতো। আসামীরা বাদির প্রতিবেশী হওয়ায় কখনও সন্দেহ করতো না বাদি। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হালে খাতুন ওরফে পপির মাকে গ্রেফতার করে সোমবার ২৩ জানুয়ারী আদালতে সোপর্দ করে।