দুর্নীতি করতেই সরকার পাতাল রেল করছে: বুলু

আরও দুর্নীতি করতেই সরকার পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্প করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

বুলু বলেন, দেশে চারদিকে সংকট। আমদানি হচ্ছে ডলারের সংকট। এ সংকটের মধ্যে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ২০ কিলোমিটার পাতাল রেলের জন্য ৫২ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছেন। লুটপাটের জন্য এ প্রকল্প আপনারা করেছেন। ৫২ হাজার কোটি টাকার পাতাল রেলে এই রাষ্ট্রের কী উপকার হবে?

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই ৫২ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের মাঝে দিয়ে দেন, এই ৫২ হাজার কোটি টাকা শ্রমিকদের মাঝে দিয়ে দেন, এই ৫২ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মিল-কারখানা করেন। লক্ষ, লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আপনারা সেটা করবেন না। কারণ এটা করলে আপনাদের লুটপাট হবে না।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার পূর্বাচলে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

এর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার অংশ হবে মাটির নিচ দিয়ে। আর পূর্বাচল থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত প্রায় ১১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার এলিভেটেড রেলওয়ে হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, দেশ থেকে আপনারা ১৪ লক্ষ কোটি টাকা কানাডা, দুবাই, আমেরিকায় পাচার করেছেন। একজন এমপি আপনার বিশেষ সহকারী, গোলাপ নাকি তার নাম। উনি চার বছরে আমেরিকাতে ১৭টি বাড়ির মালিক হয়ে গেলেন। মনে হয় যেন আলাদিনের চেরাগ তাদের হাতে আছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এভাবে কুইক রেন্টাল, রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা লুণ্ঠন করে আওয়ামী পরিবারের লোকেরা আজকে বিশ্ব ধনীদের খাতায় নাম লিখিয়েছেন বিদেশে। বিদ্যুতের লুণ্ঠন হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে নাই যে, প্রকল্পের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ মামলা করতে পারবে না। সরকার সংসদ এজন্য ইনডেমনিটি বিল পাস করিয়েছে। আপনারা লক্ষ লক্ষ টাকা চুরি করতে পারবেন আর এই চুরির বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ দায়ের করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আন্দোলনে সরকারের পতন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে হটিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।

নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন বেপারীর সঞ্চালনায় মানবন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ইসমাইল তালুকদার খোকন, নাদিয়া পাঠান পাপন, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের মোস্তাফিজুর রহমান, মুসা ফরাজী, তোফায়েল হোসেন মৃধা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।