অবশেষে যশোরে চিকিৎসকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় মামলা

অবশেষে যশোর মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ১০৫ নং কক্ষে ইন্টার্ন চিকিৎসক জাকির হোসেনকে মারপিট করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের দায়ের করার অভিযোগ আদালতের নির্দেশে কোতয়ালি মডেল থানা কর্তা রের্কড করেছে।

সোমবার দিবাগত গভীর রাত অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার হরিশ^র গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ্জামানের ছেলে বাংলাদেশ রেলওয়ের সিনিয়র সাব-এ্যাসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আহত জাহাঙ্গীরের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমের দায়ে করার ৭ মেডিকেল ছাত্র ও ইন্টার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে থানা কর্তা। মামলায় আসামীরা হচ্ছে,যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমানের ছেলে বর্তমানে জেএমসি ব্যাচ-৪ শামীম হোসেন, জেএমসি ব্যাচ-৫ আব্দুর রহমান আকাশ, জে এম সি ব্যাচ-৬ মেহেদী হাসান লিয়ন, জেএমসি ব্যাচ-৯ শাকিব আহম্মেদ তনিম,জেএমসি ব্যাচ-১০ তন্ময় সরকার,জেএম সি ব্যাচ-৯ সৌম্য সাহা ও জেএমসি ব্যাচ-৭ রাসেল এন্টার্স ডাক্তারসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার ছোট ভাই জাকির হোসেন বিপ্লব (২৮) যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নি ডাক্তার ও যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেলের ১০৫নং কক্ষে থেকে পড়ালেখা করে। মেহেদী হাসান লিয়ন, শাকিব আহম্মেদ তনিম ও তন্ময় সরকার মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরত ও সৌম্য সাহা ইন্টার্ন ডাক্তার ও মেহেদী হাসান লিয়ন, শাকিব আহম্মেদ তনিম ও তন্ময় সরকার একই হোস্টেলে থাকেন। শামীম হোসেন ও আব্দুর রহমান আকাশ বহিরাগত। আসামীরা অজ্ঞাতনামা বহিরাগত সন্ত্রাসী মাদকসেবীদের নিয়ে বাদির ছোট ভাই জাকির হোসেন বিপ্লব এর পাশের রুমে অর্থাৎ ১০৪ নং কক্ষসহ অন্যান্য কক্ষে মাদকের আড্ডা বাসিয়ে মাদক সেবন এবং হৈ চৈ করতো। আসামীদের এ ধরনের কার্যকলাপে বাদির ভাই জাকির হোসেন বিপ্লব প্রতিবাদ জানালে আসামীগন বিভিন্ন সময় বাদির ভাইকে খুন জখমের হুমকী প্রদর্শন করে আসছিল। আসামীগন গত ৩১ জানুয়ারী রাত ৮ টায় হোস্টেলের ১০২ নং কক্ষে গাঁজা সেবন করে হৈ চৈ চিৎকার করতে থাকলে বাদির ভাই জাকির হোসেন আসামীদেরকে হৈচৈ করতে নিষেধ করলে রাসেলের হুকুমে সকল আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন সন্ত্রাসীসহ বেইআইনী জনতাবদ্ধে হকিষ্টিক, লোহার পাইপ, লাঠি, গাছিদা ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাত পৌনে ৯ টায় বাদির ভাইয়ের ১০৫ নং কক্ষে সকল আসামীরা প্রবেশ করে। ওই কক্ষে থাকা ২লাখ ৯২ হাজার টাকা মূল্যের মোটর সাইকেল,চাবি ও কাগজপত্র (সুজুকি জিক্সার) অবৈধ দাবি করে। বাদির ভাই আসামীদের মোটর সাইকেলের চাবি দিতে অস্বীকার করলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদির ভ ভাই জাকির হোসেনের মাথা লক্ষ্য করে জোরে বাড়ি মারলে।

জাকির হোসেন বাম হাত দিয়ে ঠেকালে ওই হাতে লেগে গুরুতর জখম হয়। অন্যান্য আসামীরা হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ী মারপিট করে বাদির ভাইয়ের মোটর সাইকেল,কাগজপত্র ও চাবি চাঁদা হিসেবে নিয়ে যায়। জাকির হোসেনের ডাক চিৎকারে হোস্টেলের অন্যান্য ছাত্ররা এবং স্থানীয় লোকজন খবর শুনে আসলে আসামীরা জাকির হোসেনকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। জাকির হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন কিছুটা সুস্থ্য হলে বাদি ঘটনা শুনে থানায় এসে মামলা দিলে থানা কর্তা মামলা হিসেবে নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। বাদি কোন উপায়ূন্তর না পেয়ে আদালতের স্মরনাপন্ন হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের নির্দেশে থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম দায়ের করা ৭ আসামীর নাম উল্লেখ করে মামলা নিয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করলেও কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।#