যশোরে বন্দিদের সাক্ষাত ও খাবার দেওয়া নিয়ে অর্থ আদায়

যশোর সদর কোর্ট হাজত খানায় দায়িত্বরত পুলিশের বিরুদ্ধে খোদ জেলা পুলিশের কর্তা নাখোশ হয়েছেন। সোমবার রাতে তাদেরকে ডেকে হাজত খানায় আসামীদের আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে দেখা সাক্ষাত ও খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ আদায়ের ঘটনায় তিরস্কার করেছেন । ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে কোর্ট হাজত খানায় বন্দি আসামীদের দেখা সাক্ষাত ও খাবার বাবদ আর টাকা নেওয়া হচ্ছেনা। তাছাড়া,ওকালত নামায় বন্দি আসামীদের স্বাক্ষর, আসামী জামিনসহ বিভিন্ন পন্থায় যে টাকা নেওয়ার সিন্টেম ছিল তা বন্ধ হয়ে গেছে। এ তথ্য পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্রের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোর্টে কর্মরত কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, সোমবার রাতে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তা কোর্টে কর্মরত এটিএসআইদের তার দপ্তরে ডাকেন। যে সব এটিএসআই যশোর জেলা জজ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কর্মরত তাদেরকে লক্ষ্য করে বলেন কোর্ট হাজত খানায় বন্দি আসামীদের দেখা সাক্ষাত ও খাবার দেওয়া বাবদ তাদের আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে আর যদি অর্থ নেওয়া হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তার নির্দেশ মঙ্গলবার সকাল থেকে যশোর কোর্ট হাজত খানায় পালন করতে দেখা গেছে।

কোর্ট হাজত খানায় বন্দি আসামীদের সাথে যারা দেখা করতে গেছেন তাদেরকে দেখা করা হয়েছে নিয়ম প্রক্রিয়ায়। তাছাড়া, বন্দি হাজতী আসামীদের জামিন হলে তাদেরকে নিয়ম মোতাবেক কোর্ট হাজত খানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া,বন্দি হাজতী আসামীদের ওকালত নামায় স্বাক্ষরের বিষয় নিয়ম মোতাবেক করা হচ্ছে। যে নিয়ম প্রতিক্রিয়ায় বন্দিদের ওকালত নামায় স্বাক্ষর করানো হয়। আইনজীবী ও তাদের মহুরীদেরকে সে প্রক্রিয়ায় ওকালত নামায় স্বাক্ষর করার কথা বলা হয়েছে কোর্ট হাজত খানা থেকে। সম্প্রতি কোর্ট হাজত খানায় বন্দিদের জিম্মি করে কর্মরত পুলিশের এটিএসআই ও কনস্টেবলরা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।