দেশে শিষ্টের দমন আর দুষ্টের লালন নীতি চলছে: জি এম কাদের

দেশে শিষ্টের দমন আর দুষ্টের লালন নীতি চলছে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের।

তিনি বলেন, ‘দুষ্টের দমন আর শিষ্টের লালন নীতি মেনে চলতে হয়। কিন্তু দেশে চলছে তার উল্টো নীতি। অর্থাৎ শিষ্টের দমন আর দুষ্টের লালন নীতি। নির্বাচনের মাধ্যমে শুধু মানুষের মুখ পরিবর্তন হলে দেশের ভাগ্য ফিরবে না। যদি মানুষের মুখের পরিবর্তন হয়, চাঁদাবাজি, দলবাজি, দুর্নীতি ও দুঃশাসন চলতে থাকে তাহলে দেশের মানুষের কোনো উপকার হবে না।’

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার জামির্ত্তা গ্রামে সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম আব্দুল মান্নানের বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও দেশে কোন গণতন্ত্র নেই। দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে। আওয়ামী লীগ দুর্নীতি দূর করার কথা বারবার বলছে। কিন্তু দুর্নীতি বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায় পৌঁছেছে যে, দুর্নীতি করার আর কোনো ক্ষেত্র বাকি নেই।’

কারও দয়ায় সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী হলে তাতে সম্মান পাওয়া যায় না বলে জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, গণমানুষের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার মধ্যেই প্রকৃত সম্মান। আমরা চাই জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হোক। নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, সেটা কোনো বিষয় নয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দেবে। তবে নির্বাচন কাছাকাছি এলে কীভাবে প্রার্থী দেব, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, জিএম কাদের স্ত্রী সংসদ সদস্য শেরীফা কাদের, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম আব্দুল মান্নান, হাজী সাইফুদ্দিন মিলন, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি হুসেইন মকবুল, সাধারণ সম্পাদক আহাদ ইউ চৌধুরী, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান সাঈদ প্রমুখ।