যশোরে টিসিবি’র তেল কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগে পিতা পুত্র আটক

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সয়াবিন তেল কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ পিতা পুত্রকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এরা হচ্ছে,যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর বাঁশতলার মৃত আমিনুল হকের ছেলে শহরের বড় বাজার হাটচান্নি (আলুপট্টি) রেজাউল ষ্টোরের মালিক রেজাউল ইসলাম ও তার ছেলে আবু দাউদ।
এ ঘটনায় যশোর পৌরসভার বর্তমান প্যানেল মেয়র শহরের ঘোপ জেল রোডের বাসিন্দা মৃত শামস-উল-হুদার ছেলে শেখ মোকছিমুল বারী বাদি হয়ে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেফতারকৃত পিতা রেজাউল ইসলাম ও ছেলে আবু দাউদকে মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারী আদালতে সোপর্দ করে। এ সময় টিসিবি’র ডিলার শহরের বেজপাড়া ( মেঠোপাড়া সত্ত্বাধিকারী লোকনাথ ভান্ডারের মালিক মৃত বলরাম পালের ছেলে শ্রী গৌরাঙ্গ কুমার পাল ওরফে বাবুকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বাবু পাল আত্মগোপন শুরু করেছে।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,গত ২৬ ফেব্রুয়ারী রোববার ঝিনাইদহ সরকারি গোডাউন হতে লোকনাথ ভান্ডার এর সত্বাধিকারী শ্রী গৌরাঙ্গ কুমার পাল টিসিবি’র পন্য উত্তোলন করে যশোর শহেেরর বড় বাজার হাটচান্নী (আলু পট্টি) রেজাউল ষ্টোরের পিছনে রাস্তার উপর টিসিবি’র সয়াবিন তেল, ১০৮ বোতল ( প্রতি বোতলে ২ লিটার করে, যার মধ্যে ২টি বোতল খালি) সর্বমোট ২১২ লিটার সয়াবিন তেল যার মূল্য ২৫ হাজার ৪শ’ ৪০ টাকা কালো বাজারে বিক্রয়ের জন্য গৌরাঙ্গ পাল ওরফে বাবু পাল মজুত রাখে।

পরবর্তীতে সোমবার ২৭ ফেব্রুযারী সন্ধ্যা ৭ টায় স্থানীয় জরসাধারণ ও ব্যবসায়ীরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, বড় বাজার হাটচান্নি (আলু পট্টি) রেজাউল ইসলাম এর দোকান রেজাউল ষ্টোরের মধ্যে ১শ’ বোতল অর্থাৎ ২শ’ লিটার সয়াবিন তেল এবং তার দোকানের মধ্যে ৮ বোতল, যার মধ্যে ৬ বোতলে তেল আছে, অর্থাৎ ১২ লিটার তেল এবং ২টি বোতল খালি পাওয়া যায়। তৎক্ষনিক স্থানীয় জনসাধারণ রেজাউল ইসলাম ও আবু দাউদের নিকট উক্ত তেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জনসাধারণকে জানায় গৌরাঙ্গ কুমার পাল ওরফে বাবু পাল উল্লেখিত সয়াবিন তেলের মালিক। তখন সাধারণ জনগনের মধ্যে সন্দেহ হলে পিতা পুত্রকে আটক করে জনসাধারণ বিষয়টি কোতয়ালি থানায় সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিষয় জনসাধারণের নিকট জেনে ও শুনে গ্রেফতারকৃত পিতা পুত্রকে উক্ত টিসিবি’র সয়াবিন তেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। রেজাউল ইসলাম ও আবু দাউদকে হেফাজতে গ্রহন করে পুলিশ। মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে।