যেখানে বিনা ছুটিতে অনুপস্থিত থাকেন ৪-৫ জন শিক্ষক

যেখানে প্রতিদিন বিনা ছুটিতে ৪-৫ জন শিক্ষক অনুপস্থিত থাকেন তার নাম ভালুকঘর মাদ্রাসা। যে প্রতিষ্ঠানে কোন নিয়ম মানা হয়না তার নাম ভালুকঘর মাদ্রাসা। যে প্রতিষ্ঠানে তথ্য গোপন করে জাল সনদে নিয়োগ পাওয়া যায় তার নাম ভালুকঘর মাদ্রসা। যে প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ঠুঠো জগন্নাত, যে প্রতিষ্ঠান চলে দু’জন বিতর্কিত প্রভাষকের আঙ্গুলের ইশারায় তার নাম ভালুকঘর মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠানের এই পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠেছে।

বুধবার ওই প্রতিষ্ঠানের প্রক্তান ছাত্র মনিরুজ্জামানের দেয়া পোষ্টে উল্লেখ করা হয়, এদিন অত্র মাদ্রসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ ৪ জন শিক্ষক অনুপস্থিত রয়েছেন। সম্প্রতি মাদ্রাসার গভনিংবডির একজন সদস্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখেন বিনা ছুটিতে ৭ জন শিক্ষক অনুপস্থিত রয়েছেন। প্রতিদিন এমন ৪/৫ জন অনুপস্থিত থাকেন বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ঠ একাধিক সূত্র। শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের পাশের হার এবং উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। এবছর আলিম(এইচ এসসি) বিভাগে ২২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে মাত্র ৯ জন।

নির্বাচিত অভিাবক সদস্য হায়দার আলী জানান, প্রতিষ্ঠানে কোন নিয়ম নীতির বালাই নেই। কতিথ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ঠুঠো জগন্নাথ। প্রতিষ্ঠানের চাবি কাঠি মোস্তফা মহসীন ও কামাল হোসেনের হাতে। বির্তকিত ওই দুই প্রভাষকের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা কুকর্মের অভিযোগ।মূলত তারাই প্রতিষ্ঠানটি ধংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছে।

এদিকে শিক্ষকদের অনুপস্থিতের ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ৪ জনের অনুপস্থিতির ঘটনা সত্য। তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সভাপতির সাথে দেখা করার জন্য যশোরে গিয়েছেন বলে মুভমেন্ট রেজিস্টারে উল্লেখ করেছেন। অপর ৩ জনের একজন ম্যাটানিক্যাল ছুটিতে এবং বাকী দু’জন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে গিয়েছেন বলে প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হয়। তবে তারা কোন ছুটি নেননি। শুধুমাত্র সভাপতির সাথে দেখা করতে ভারপ্রাপ্ত প্রথিষ্ঠান চলাকালীন দু’জন শিক্ষক নিয়ে যেতে পারেন কি না জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, যদি শুধুমাত্র দেখা করার উদ্দেশ্যে হয় তা হলে ওই দু’শিক্ষক চাকরি বিধি লংঘন করেছেন। আর যদি ছুটি নিয়ে না থাকেন তা হলে আরো গুরুতর অপরাধ করেছেন।