যশোরে সানসাইন জাতের আলুর বাম্পার ফলন

যশোরে এবার সানসাইন জাতের আলু চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। দেশে চাষকৃত প্রচলিত পুরাতন জাতের আলুর ফলন যেখানে হেক্টর প্রতি ২০ থেকে ২৫ মে. টন সেখানে সানসাইন জাতের নতুন আলুর চাষ করে হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ মে.টন।
আজ বুধবার সদরের নোঙ্গরপুরে যশোর বিএডিসি (হিমাগার) কর্তৃক আয়োজিত এক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বিএডিসি’র কর্মকর্তা ও স্থানীয় চাষিরা। অনুষ্ঠানে বিএডিসি’র খুলনা বিভাগের (বীজ বিপনন) যুগ্ম পরিচালক কৃষিবিদ একেএম কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আবু হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর’র উপ-পরিচালক মোঃ মঞ্জুরুল হক।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর বিএডিসির বীজ বিপনন বিভাগের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম, যশোর বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক তিমা পাল, পাট বীজ বিভাগের উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান, বিএডিসি’র হিমাগার বিভাগের উপ-পরিচালক শামীম রানা প্রমুখ। নতুন জাতের আলু বীজ কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় করতে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন ও মাঠ দিবস পালন করা হয়। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বিএডিসি’র বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, টিসিআরসি প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আলু চাষি আব্দুস সালাম, এনামুল হক, মিন্টু মিয়া ও মাহবুব জানান, বিএডিসি’র উদ্ভাবিত ১৭টি জাতের মধ্যে সবচেয়ে সানসাইন জাতের নতুন আলু চাষ করে আমরা ব্যাপক লাভবান হয়েছি। পুরাতন জাতের আলু চাষ করে যেখানে হেক্টর প্রতি ২০ থেকে ২৫ মণ উৎপাদন হয়েছে সেখানে নতুন জাতের সানসাইন আলু চাষ করে আমরা এবার হেক্টর প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ মণ আলু উৎপাদন করেছি।

পুরাতন জাতের আলুর তুলনায় নতুন জাতের ফলন হয়েছে প্রায় দেড় থেকে দ্বিগুণ। এছাড়া বিএডিসি’র এ্যালুইটি, ল্যাবেলা ও সান্তানা জাতের আলু চাষ করেও কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। বেশি ফলন হওয়ায় নতুন এই জাতগুলির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন কৃষকরা। আগামীতে তারা সানসাইন জাতের আলু চাষ করার জন্য ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। উচ্চ ফলনশীল আলুর জাতগুলি চাষ করা হলে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা পূরণসহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে বিএডিসি’র কর্মকর্তারা মনে করেন।