যশোরে দাদা কর্তৃক স্কুল শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা

একইবাড়িতে ভাড়া থাকার সুযোগে দাদা পুতনি সম্পর্কের এক পর্যায় লম্পট কথিত দাদা পুতনিকে উত্যক্তসহ যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় বুধবার গভীর রাতে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন,সদর উপজেলার এনায়েতপুর (খালের পাশে) আব্দুল মুজিদের ছেলে বাবু হোসেন। মামলায় আসামী করেছেন,যশোর সদর উপজেলার হাশিমপুর পশ্চিমপাড়া প্রাইমারী স্কুলের পিছনে কদর আলীর ছেলে ইসলামকে।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (১৩) সদর উপজেলার হাশিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। বাদি পূর্বে যশোর কোতয়ালি মডেল থানাধীন হাশিমপুর গ্রামের নাজের মাষ্টারের বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। লম্পট ইসলাম একই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। একই বাড়িতে ভাড়া থাকার বাদির মেয়ে ইসলামকে দাদা বলে ডাকতো। ইসলাম মাঝে মধ্যে বাদির বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। ওই সময় বাদির মেয়ের সাথে কথা বার্তা বলতো।

সেই সুযোগে লম্পট ইসলাম বাদির মেয়েকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দেয়। ইসলাম বাদির মেয়েকে পাজা করে ধরাসহ বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আজে বাজে কথা বার্তা বলে। বাদির মেয়ে স্কুল্ েআসা যাওয়ার পথে ইসলাম বেশ কিছুদিন পূর্ব হতে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। যার কারনে গত ১ মাস পূর্বে বাদি ও তার পরিবারসহ এনায়েতপুর গ্রামে তার নিজস্ব বাড়িতে চলে আসে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারী সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় বাদির মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পর সকাল ৯ টা বেজে ৫০ মিনিটের সময় হাশিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিমে বাঁশ বাগানের পাশে গেলে ইসলাম বাদির মেয়েকে একা পেয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে বাদির মেয়েকে ঝাপটে ধরে কু-প্রস্তুাব দেয়। এক পর্যায় বাদির মেয়ের শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয়। তখন বাদির মেয়ে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে লম্পট ইসলাম বাদির মেয়েকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে বাদির মেয়ে বাড়িতে এসে বাদি ও তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। পরে বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বুধবার গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।