যশোরে যৌতুক নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে গৃহবধূ সীমা খাতুন পলি (৩৫) নির্যাতনের অভিযোগে যৌতুক লোভী স্বামী শ^শুর,শ^াশুড়ী ও ননদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন। বুধবার ১ মার্চ রাতে মামলাটি করেন, নির্যাতিতা গৃহবধূ যশোর শহরের নাজির শংকরপুরের মৃত নূরুল ইসলামের মেয়ে সীমা খাতুন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে,যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে গৃহবধূর স্বামী লিটন হোসেন, মৃত আব্দুর রবের ছেলে গৃহবধূর শ^াশুড় আব্দুল লতিফ,শ^াশুড়ী শিরিনা বেগম ও ননদ লতিফা বেগম।

মামলায় গৃহবধূ উল্লেখ করেন,বিগত ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল লিটন হোসেনের সাথে গৃহবধূর বিয়ে হয়। বিয়ের পর গৃহবধূ স্বামীর বাড়িতে যেয়ে লিটন হোসেনের সাথে ঘর সংসার করাকালে বিগত ১৬/১৭ মাস পূর্বে বাদীনি গর্ভবতী হলে সকল আসামীগন শলাপরামর্শ করে পরস্পর যোগসাজসে গৃহবধূকে না জানিয়ে ঔষধ খাওয়ায়ে বাদীনির গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়। এরপর সকল আসামীগন গৃহবধূ বাদীনির কাছে ৪লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে গৃহবধূর উপর নির্যাতন করতে থাকলে গৃহবধূ তার বড় ভাই মিজানুর রহমানকে জানালে ভাই অনুমান ৬ মাস পূর্বে লিটন হোসেনকে নগদ ৩লাখ টাকা,বাদীনির ২টি স্বর্ণের বালা ২ভরি ওজন এবং একটি ইজিবাইক বিক্রয় করে বিক্রিত টাকা প্রদান করেন।
লিটন বিভিন্ন কাজে উক্ত টাকা নষ্ট করে ফেলেছে। তার কিছুকাল পর হতে আসামীগন পুনরায় ১লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বড় ভাইয়ের নিকট থেকে এনে দিতে বললে বাদীনি তার ভাইয়ের আর্থিক অবস্থার কথা জানিয়ে আসামীদেরকে যৌতুকের দাবী ত্যাগ করতে বললে আসামীগন পুনরায় বাদীনির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকলে বাদীনি আসামীদের নির্যাতন সহ্য করে সংসার করতে থাকে। গত ১০ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টায় আসামীগন বাদীনির নিকট ১লাখ টাকা যৌতুক দাবী করলে বাদীনি অস্বীকার করা মাত্রই লিটন হোসেন কাঠের চলা দিয়ে বাদীনির বাম হাতের আঘাত করে জখম করে। শ^শুড় আব্দুল লতিফ বাঁশের লাঠি দিয়ে বাম হাতে আঘাত করে জখম করে।
অন্যান্য আসামীগণ এলোপাতাড়ী মারপিট করে বাদীনির উরুতে এবং শরীরের অন্যান্য স্থানে নীলাফোলা থেতলানো জখম করে। গৃহবধূর আত্মীয়স্বজনেরা মোবাইলের মাধ্যমে খবর পেয়ে আসামীদের বাড়িতে যেয়ে অসুস্থ্য ও মরনাপন্ন গৃহবধূকে উদ্দার করে যাশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার জখম সনদ সংগ্রহ করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহন করা করায় বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ যশোরে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে থাকা কর্তা বুধবার রাতে মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন।