যশোরে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারক চক্র লাপাত্তা

কয়লার ব্যবসায়ী দাবি করে কয়লা বিক্রয়ের কথা বলে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সু-কৌশলে ৫লাখ টাকা নিয়ে একটি প্রতারক চক্র গা ঢাকা দিয়েছে।

এ ঘটনায় প্রতারনার শিকার যশোর সদর উপজেলার জিরাট গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে সেলিম রেজা বাবুল বাদি হয়ে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় ৫ প্রতারকের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

মামলার আসামীরা হচ্ছে,সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থানার চর দুগলী গ্রামের শমসের আলীর ছেলে আলম ট্রেডার্স এর প্রোপ্রাইটর মোকলেছুল আলম, বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার সন্তোষপুর মেইন রোড,ফয়লার প্রোপ্রাইটার মেসার্স আলিফ এন্টারপ্রাইজ,রিধিতা কমপ্লেক্স মালিক আলী হোসনে,একই এলাকার মেসার্স আলিফ এন্টারপ্রাইজ,রিধিতা কমপ্লেক্স এর ম্যানেজার সাজ্জাদ আলী হোসেন,একই গ্রামের মেসার্স আলিফ এন্টারপ্রাইজ, রিধিতা কমপ্লেক্স এর কর্মকর্তা সোহেল মিয়া ও একই প্রতিষ্ঠানের সার্ভেয়ার আরিফ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮জন।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, প্রতারক মোকলেছুল আলম বাদির সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন আলী হোসনে, সাজ্জাদ আলী হোসেন, সোহেল মিয়া, আরিফ হোসেন কয়লা বিক্রয় করেন। মোকলেছুল আলমের বাদির পরিচয়ের সুবাদে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাদির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বলেন যে, তারা সকলে কয়লা বিক্রয় করে।

বাদি কয়লা নিতে আগ্রহী কিনা। পরবর্তীতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী মোকলেছুল আলম বাদির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে বাদি ইং ২৭ ফেব্রুয়ারী কয়লা নিতে ইচ্ছা পোষন করেন। তখন মোছলেছুল আলম বাদিকে জানায়, অভয়নগর থানাধীন নওয়াপাড়া বাজারে শাহারা নামক ট্রেডাসে বাদির ম্যানেজারসহ গাড়ি পাঠিয়ে দেন এবং মোকলেছুল আলমের একাউন্টে কিছু টাকা দিয়ে দেন।

মোকলেছুল আলমের কথায় বিশ^াস করে বাদি গত ২৭ ফেব্রুয়ারী বেলা দেড়টায় শহরের জেস টাওয়ারের পশ্চিম পাশে সিটি ব্যাংকে বাদি গিয়ে সিটি ব্যাংকে কর্মরত সেকেন্ড অফিসার রুহুল আমিন এর মাধ্যমে মোকলেছুল আলমের মাধ্যমে আসামীর দেওয়া আলম ট্রেডার্স এর নামে সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নওয়াবপুর ব্র্যাঞ্চ,ঢাকায় নগদ ৫লাখ টাকা প্রদান করেন। তার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর পর মোকলেছুল আলমের মোবাইল ফোন বন্ধ পায়।