ডিবি কার্যালয়ে নায়ক শাকিব

অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’-এর শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো ও সহকারী প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ করায় প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহর নামে মানহানির মামলা করতে শনিবার রাতে গুলশান থানায় গিয়েছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। তবে পুলিশ মামলাটি নেয়নি। মামলাটি আদালতে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে গেলেন শাকিব খান। রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার মিন্টো রোডের কার্যালয়ে যান তিনি।

প্রযোজকের সঙ্গে ঝামেলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে শাকিব খান ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছেন বলে ডিবি সূত্র জানিয়েছে।

তবে ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ যুগান্তরকে বলেন, ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে শাকিব আমার কার্যালয়ে এসেছেন।

সম্প্রতি শাকিব খানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’-এর শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো ও সহনারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন রহমত উল্লাহ নামে এক প্রযোজক।

ওই প্রযোজকের নামে মানহানি মামলা করতে শনিবার রাতে গুলশান থানায় যান শাকিব খান। তবে পুলিশ মামলাটি না নিয়ে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

পরি শাকিব খান বলেন, রহমত উল্লাহ নামে যিনি ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক দাবি করছেন, তিনি আসলে এ ছবির আসল প্রযোজক নন। সিনেমাটির আসল প্রযোজক হচ্ছেন ভারটেক্স মিডিয়ার জানে আলম, যা চুক্তিপত্রেও লিখিত আছে।

শাকিব খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। এ কারণে তিনি ভুয়া প্রযোজকের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নিচ্ছেন। প্রযোজক নামধারী এ প্রতারক যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সেই কারণে আইনিব্যবস্থা নিতে থানায় গেছেন তিনি। মিথ্যা অভিযোগ সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত যেন অন্যায় অভিযোগকারী দেশ ছাড়তে না পারে, সেই কারণে এ ব্যবস্থা নিচ্ছেন তিনি।

এদিকে মামলা না নেওয়ার বিষয়ে গুলশান থানার ওসি ফরমান আলী বলেন, শাকিব খান যে ধরনের অভিযোগ করতে এসেছেন, তা থানায় নয় আদালতে করতে হবে। এ ধরনের অভিযোগ থানায় নেওয়া সম্ভব না।

তবে শাকিব খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খায়রুল হাসান বলেন, যেহেতু এটা কগনিজেবল অপরাধ ছিল, তিনি ইচ্ছা করলে মামলা নিতে পারতেন। কারণ এই ধরনের অভিযোগ সাধারণত থানায় রুজু করা হয়। আর যেগুলো নন কগনিজেবল অপরাধ সেগুলো আমরা আদালতে রুজু করি। কিন্তু এর পরও তিনি (ওসি) কেন মামলা নেননি, এটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন।

খায়রুল হাসান আরও বলেন, মানুষ বিপদে পড়ে থানায় যায়। আমরাও সে কারণে গিয়েছিলাম। কিন্তু থানা থেকে আমাদের অভিযোগ গ্রহণ না করে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, আদালতে গিয়ে মামলা করার কথা বলে তিনি বেরিয়ে যান।