বেনাপোল আর্মস পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদবাজির অভিযোগ

বেনাপোল স্থল বন্দরে কর্মরত আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য সুমন এর চাঁদাবাজিতে পাসপোর্ট যাত্রী সহ সাধারন ব্যবসায়িরা অতিষ্ঠ। সুমন পাসপোর্ট যাত্রীদের সুকৌশলে তল্লাশির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা। এরকম একাধিক অভিযোগ উঠার পর তার সত্যতা মিলেছে।

এপিবিএন পুলিশের এই পুলিশ সদস্য সরাসারি স্থানীয় ব্যবসায়িদের ঘরে যেয়ে উৎকোচ চায়। যদি উৎকোচ দিতে ব্যার্থ হয় তাহলে তাকে দেখে নেওয়ার ও হুমকি প্রদান করে। বুধবার বেলা ১২ টার সময় সুমন চৌধুরী মার্কেটে জামাল নামে এক ব্যবাসায়ির নিকট উৎকোচ চেয়ে হুমকি দিয়েছে। যদি তাকে সপ্তাহে দুই একবার ৫ শত করে টাকা না দেওয়া হয় তবে তাকে দেখে নিবে বলে হুমকি প্রদান করেন।

এর আগে চেকপোষ্ট আন্তর্জাতিক সোনালী ব্যাংকের সামনে এই আর্মস পুলিশ সদস্য ভারতীয় নাগরিক জয় পোদ্দার এর ব্যাগ এবং পাসপোর্ট তল্লাশি সহ নানাবিধ প্রশ্ন করে। নিয়ম অনুযায়ী বিদেশী নাগরিকরা বেনাপোল ইমিগ্রেশন এর ডিউটি ফ্রি- সপ থেকে ১ লিটার করে মদ ক্রয় করতে পারবে। জয় পোদ্দার এর নিকট মদের ওই বোতল দেখে এপিবিএন এর সদস্য সুমন অর্থ আদায়ের জন্য সুযোগ খোজে। পরে সেখানে এই প্রতিবদেক এর উপস্থিতি বুঝতে পেরে তার নিকট থেকে অর্থ আদায় করতে ব্যার্থ হয়।
জয় পোদ্দার বলেন সে সহ আরো অনেকে এই দেশের সাথে ব্যবসা করে। মাঝে মধ্যে স্যাম্পল নিয়ে ভারত থেকে আসার সময় এই পুলিশ সদস্য তাদের টার্মিনালের মধ্যে এক পাশে ডেকে অর্থ আদায় করে। তাকে আমরাও বাধ্য হয়ে ২ শত করে টাকা দেই।

এদিকে ব্যবসায়ি জামাল হোসেন বলেন, বেনাপোল বাড়ি হওয়ায় মাঝে মধ্যে আত্নীয় স্বজন আসে। তারা ইমিগ্রেশনে যাওয়ার সময় সুযোগ বুঝে সুমন পুলিশ কারো কারো নিকট থেকে অর্থ আদায় করে। আমি তাকে এ বিষয় বললে সে আমার নিকট থেকে টাকা চায়। আমাকে বলে আপনি যদি টাকা না দেন তবে আপনাকে আমি দেখে নিব। আজও দুই বার আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে এসে টাকা চায়। আমি টাকা না দিলে সে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
বেনাপোল চেকপোষ্টের জনৈক এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আর্মস পুলিশ সদস্য সুমনকে বিভিন্ন ঘরে পোশাক পরে অর্থ আদায় করতে দেখা যায়। সে প্রতিদিন কয়েকটি ঘরে কয়েকবার করে যতায়াত করে।

এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থল বন্দরের টার্মিনালে আর্মস পুলিশ এর ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলামকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।