বেনাপোল চেকপোষ্টে ভারতীয় ৫ নাগরিকের ভ্রমণ কর ফাকি

বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারত যাতায়াত যাত্রীদের মধ্যে জাল ভ্রমন কর দিয়ে একটি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। আর এ জাল ভ্রমন সহ একাধিকবার পাসপোর্ট যাত্রী ধরা পড়লে ও রাষ্ট্রের নিয়োজিত কোন সংস্থা এর দায় নিচ্ছে না কোন এক অদৃশ্য কারনে। শুক্রবার বেলা ১২ টার সময় ৫ ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী জাল ট্যাক্স সহ ধরা পড়লেও যাত্রীদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, সোনালী ব্যাংক, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ সহ কয়েকটি গুরুত্বপুর্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করে বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকায় । সকলে সরকারী ভ্রমন কর ফাকির ঘটনা জেনেও মামলা করে স্বাক্ষী দেওয়ার ঝামেলা থেকে এড়াতে এসব চক্রের নামে মামলা করছে না এবং প্রয়োজনীয় কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

ভারতীয় যাত্রীরা হলেন ঃ অলোক মল্লিক (৪৬) বিশ্বজিৎ দেবনাথ (৪৬) প্রনয় মন্ডল (৩৮) শিল্পী বিশ্বাস (৩২) রাজু বিশ্বাস (৩৪)।

আজ এই চক্রকে ধরা অনেক সহজ থাকায় দায় এড়াতে কেউ মামলার বাদী না হওয়ায় ওই পাসপোর্ট যাত্রীদের ছেড়ে দিল। এরা সকলে ছিল ভারতীয় নাগরিক। এভাবে সরকারী রাজস্ব ফাকি হলেও এবং সরকারী কর্মকর্তারা দায়িত্বে থাকা সত্বেও দায় না নেওয়ার কারন নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে কি এসব কর্মকর্তারা ভ্রমণ কর ফাকির সাথে জড়িত। একটি সুত্র জানিয়েছে এই চক্রের সাথে বেনাপোল সোনালী র্ব্যাক এবং কাস্টমস সহ অন্যান্য সংস্থার দুর্নীতিবাজ সদস্যরা জড়িত থাকতে পারে।

বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা এ দায়িত্ব নিতে পারব না। এটা সোনালী ব্যাংক এর সীল জাল করেছে তারা বাদী হয়ে মামলা করুক।

সোনালী ব্যাংক এর চেকপোষ্ট বুথ এর দায়িত্বে নিয়োজিত আক্তারুজ্জামান বলেন, আমরা চেকপোষ্টে যাত্রীদের ভ্রমন কর কেটে থাকি। আজ যে ৫ জনের ভ্রমন কর ধরা পড়েছে এটা জাল। একটি জাল চক্র একাজ করে থাকতে পারে। আমরা এ বিষয়টি ধরা পড়ার পর কাস্টমসকে অবহিত করেছি। তারা ব্যবস্থা নিলে ভালো হয়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন, মামলার অবশ্যই বাদি থাকতে হবে। বাদি না হলে থানা মামলা নিবে কি ভাবে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন জাল ভ্রমন কর ফাকি দেওয়ার ঘটনা শুনেছেন । এ বিষয়ে থানায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ একটি সাধারন জিডি করেছে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মাদ হাকিম এর সেল ফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।

তবে একটি সুত্র জানিয়েছে বড় অংকের কোন অর্থের বিনিময় না থাকলে রাষ্ট্রীয় ভ্রমন কর সাথে জড়িত বিদেশী ৫ নাগরিককে কি ভাবে ছাড়া হলো। হয়ত বেনাপোলের কোন চক্র ফোনের মাধ্যে চেকপোষ্টে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করার পর কেউ দায় নেয়নি ফলে তাদের ছেড়ে দিয়েছে।