পাকিস্তান আমলের মতো আ.লীগ শোষণ করছে: ফখরুল

mirza fokrul
ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পাকিস্তান যেভাবে শাসন করেছে, শোষণ করেছে, আজ একইভাবে এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ করছে। ভয়ংকরভাবে শাসন করছে নির্যাতন নিপীড়ন করছে।

সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের শপথে গণসমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

ফখরুল বলেন, এই বাংলাদেশ আমরা চাইনি। আমরা চেয়েছিলাম একটি সার্বভৌম গণতন্ত্রের বাংলাদেশ, সমৃদ্ধির বাংলাদেশ। আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন পূর্বপুরুষেরা- একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, সমৃদ্ধির বাংলাদেশের, যেখানে সবাই সাম্যের মধ্যে বাস করবে, ন্যায়বিচারের মধ্যে বাস করবে, মানবিক মর্যাদা নিয়ে বাস করবে, কল্যাণের মধ্যে বাস করবে। দুর্ভাগ্য আমাদের, আজও বলতে হচ্ছে, যে বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম, সেই বাংলাদেশ আমরা পাইনি।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটিই, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন দেশের জন্য, জাতির জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, তার জন্য আমাদেরও কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিনি আট হাজার মাইল দূরে নির্বাসিত অবস্থায় রয়েছেন মিথ্যা মামলার কারণে।

ক্ষমতাসীনরা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, তারা আবার নাটক করে, নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে আমাদের কাছে চিঠি পাঠায়। আমরা যদিও ওই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। কিন্তু এ ধরনের বিষয় নিয়ে প্রতারণা করার প্রয়োজন নেই। আমরা মনে করি, সংকট একটিই। তা হলো কীভাবে হবে, কোন ব্যবস্থায় হবে। নির্বাচন অবশ্যই একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে।

ফখরুল বলেন, পরিষ্কার করে বলছি এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সেই কমিশনারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন সরকার, নতুন পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা-চেতনা, সত্যিকার অর্থে সাম্য ও মানবিক মূল্যবোধের একটি কল্যাণমূলক বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে, ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা রয়েছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে।