যশোরে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের ঘটনায় মামলা

শহরতলীর চাঁচড়ায় এক বাড়িতে ঢুকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে রক্তাত্ত জখম, শ্লীলতাহানি ও হুমকি প্রদানের অপরাধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। চাঁচড়ার আব্দুল্লাহর স্ত্রী আলেয়া বেগম বুধবার ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরো ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলো চাঁচড়া এলাকার মৃত মোংলা ড্রাইভারের ছেলে বাবু ড্রাইভার, মৃত আাবু তাহের মুন্সির ছেলে ময়নুল ড্রাইভার, মৃত আব্দুল মোত্তালেবের মেয়ে হাজেরা খাতুন, বাবু ড্রাইভারের স্ত্রী শিরিনা খাতুন।

বাদি আলেয়া বেগম উল্লেখ করেন, তিনি একজন হাঁস ব্যবসায়ি। আসামি ময়নুল ও হাজেরা খাতুন বাদি আলেয়ার নিকট আতœীয়। আসামিদের বাড়ি একই গ্রামে ও একই পাড়ায়। রোজার মাস হওয়ায় বাদির ফ্রিজ না থাকায় প্রতিবেশির ফ্রিজে রাখা সিদ্ধ ছোলা ২৫ মার্চ দুপুরে আনেত যায়। এ সময় আসামি ময়নুল ড্রাইভার ও হাজেরা খাতুন বাদি আলেয়াকে ব্যঙ্গ করে কটুক্তি করে। বাদি আলেয়া প্রতিবাদ করলে আসামি হজেরার হুকুমে বাবু বাদির উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায গালিগালাচ করে। আসামি বাবুর আচরনের প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবু বাদি আলেয়াকে কিল, চড়, ঘুষি মেরে আহত করে। একই সময় বাদির কাছ থেকে তার হাঁস বিক্রির ২০ হাজার টাকা ও গলার ১০ আনা ওজনের সোনার চেন কেড়ে নেয়। এক পর্যায়ে আসামি বাবু বাদি আলেয়ার পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে ছিড়ে ফেলে শ্লীলতাহানি ঘটায়। আসামি হাজেরা ও আসামি শিরীনা বাদি আলেয়াকে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে পাড়িয়ে জখম করে। আলেয়ার মারপিটের খবর শুনে পবন ঘটনা স্থলে এসে আসামিদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে আসামি ময়নুল পবনকেও মারপিট করে জখম করে। আসামি বাবু মারমুখি হয়ে দা দিয়ে পবনের মাথা লক্ষ্য করে কোপ দিতে গেলে আলেয়া হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার ডান হাত কেটে যায়। বাদি আলেয়া ও পবনের চিৎকারে স্তানীয়রা এগিয়ে গেলে আসামিরা হত্যার হুমকি দিযে স্থান ত্যাগ করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্দার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতরা সুস্থ হয়ে স্থানীয় ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যথ হয়ে আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা করে।