কেশবপুরে বিধবা নারীকে হত্যাচেষ্টায় আদালতে মামলা

কেশবপুরে সনাতন ধর্মীয় এক বিধবা নারীকে হত্যাচেষ্টা, ৫০ হাজার টাকা ও জমির দলিলপত্র নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। এর আগে নামমাত্র মূল্যে ওই নারীর স্বামী ভিটাবাড়ি বিক্রি করে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল আসামিরা।

রোববার উপজেলার সন্নারগাছা গ্রামের মৃত কৃষ্ণপদ দাসের স্ত্রী পুতুল নারী দাস তিনজনের নামে এই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য কেশবপুর থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলো, একই গ্রামের নুরোর ছেলে আসাদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল্লাহ ও বুদোর ছেলে ফয়সাল।

বাদী পুতুল রানী দাস মামলায় জানিয়েছেন, তিনিট মেয়ে সন্তান রেখে প্রায় ২২ বছর আগে তার স্বামী কৃষ্ণপদ দাস মারা যান। অনেক কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে তিনটি মেয়েকে লালন পালন করে বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে ওই নারী একাই স্বামী ভিটায় বসবাস করেন। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে ভিটা বাড়ি বিক্রি করে ওই নারীকে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু ভারতে যেতে নারাজ ওই নারী। ফলে গত ৮ এপ্রিল গভীর রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে ঘুমানোর প্রস্তুতিকালে ওই তিন আসামি তার ঘরে প্রবেশ করে। এসময় তাদের কাছে নাইলনের রশি দিয়ে ওই নারী গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যারচেষ্টা করে তারা। এসময় ওই নারীর চিৎকারে ঘরের পাশে থাকা রাস্তার দুইজন পথচারি এসে তাদের হত্যার হাত থেকে রক্ষা পান। কিন্তু রাস্তার লোকজন আসার আগেই ঘরে থাকা একটি বাক্সে জমির যাবতীয় দলিলাদি এবং ৫০ হাজার টাকা ও তার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে তারা চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে আদালতে এই মামলা করেছেন।

এই ব্যাপারে বাদীর আইনজীবী ও মানবাধিকার উন্নয়ন উদ্দোগ ফাউন্ডেশনের সভাপতি রুহিন বালুজ বলেছেন, সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আসামিরা একজন অসহায় নারীকে রাতের আধারে হত্যাচেষ্টা করে। ফলে ন্যায় বিচার পাওয়ার উদ্দেশ্যেই আদালতে এই মামলা করা হয়েছে। বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করার জন্য কেশবপুর থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।