যশোরে ইউপি সদস্যকে পেটালেন যুবলীগ কর্মী, সংবাদ সম্মেলন

যশোরের বাঘারপাড়ায় জাহিদ হাসান নামে এক ইউপি সদস্যকে বেধড়ক পিটিয়েছেন যুবলীগের দুই কর্মী। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় বিচার দাবি করে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীসহ ১১জন ইউপি সদস্য। মারপিটের শিকার ওই ইউপি সদস্য বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও বলরামপুর গ্রামের মৃত ওহাব বিশ্বাসের ছেলে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বলছে, আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।

মারপিটের ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে আজ দুপুর ২টায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীসহ ১১ ইউপি সদস্য। এসময় ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান জানান, গত শনিবার বিকেলে নারিকেলবাড়িয়া বাজার সংলগ্ন আনসার মাস্টারের বাড়ির পাশে তার গতিরোধ করে মারপিট করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহার নিদের্শে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি অন্যান্য ইউপি সদস্যদের দাবি, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহা মেম্বারদের বাদ দিয়ে একাই সবধরণের কাজ করেন। প্রকল্পের কাজে তাদের রাখা হয় না। মাসিক মিটিং করা হয় না। এমনকি মেম্বার স্বাক্ষর জাল করা হয়। এর প্রতিবাদ করলেই মারপিটের শিকার হতে হয়। ইতমধ্যে ৫জন চেয়ারম্যানের পেটুয়া বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন। অন্যরাও আতংকে রয়েছেন।

এদিকে ইউপি সদস্য জাহিদ হাসানকে রক্ষা করতে গিয়ে লাঞ্ছনাসহ হুমকি ধামকির শিকার হচ্ছেন নারকেলবাড়িয়া গ্রামের নাজমা বেগমসহ তারা তিন বোন। তাদের দাবি প্রতিদিনই চেয়ারম্যানের লোকজন এসে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।

পুলিশ বলছে, ইতিমধ্যে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতিসহ নানা ধরণের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তাকে এলাকায় দেখা যায়নি