ঝিনাইদহে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপদাহ। তীব্র রোদ আর গরমে অসহনীয় অবস্থা। মানুষের পাশাপাশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ধান, পাট, কলাসহ সবজিও। এ অবস্থায় ক্ষতি রোধে কৃষকের কি করণীয় তা জানিয়েছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-এ নবী। সোমবার সকালে তিনি ধানসহ অন্যান্য ফসলের পরিচর্যা নিয়ে কথা বলেন।
তার বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো-‘আপনারা জানেন যে বর্তমানে বোর ধানটা মাঠে রয়েছে। প্রতিটি মাঠেই দেখা যাবে ধানে ফুল রয়েছে। কিছু কিছু দুগ্ধ আছে কিছু কিছু ক্ষিও অবস্থায় আছে। বর্তমানে পোকা মাকড় রোগ বলায় তেমন না থাকলেও তাপমাত্র দিন দিন বাড়ছে। ফলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমরা জানি যে কৃষক ভাইদের ধানের কিছু সমস্যা হচ্ছে। এতে ধানের তেমন কোন ক্ষতি হয়না। তবে তাপমাত্রা যদি ৩৫ ড্রিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে চলে যায় সে ক্ষেত্রে ধান চিটা হয়ে যেতে পারে। ধানের বর্তমান যে স্তরে আছে সে ক্ষেত্রে আমাদেরে কৃষক ভাইদের করনীয় হলো আপনাদের অবশ্যই ফুল অবস্থায় আছে এবং এই সময় পানি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া তাপমাত্রা আধিক্য, এ কারনে ধান গাছের গোড়ায় সর্বদা ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি ধরে রাখতে হবে। আপনারা ১০ রিটার পানি ভিতরে ১শ গ্রাম পটাশ মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে পারে। তাহলে আশা করা যায় য়ে তাপদাহেতে ধান ফসলে আমাদের তেমন কোন প্রভাব পড়বে না। এখন আম, লিচসহ অনন্যা ফলে গুটি রয়েছে। তা ঝরে পড়তে পারে, সে ক্ষেত্রে আমাদের ফল চাষি ভাইরা আছেন তারা ঘাছের চারি দিকে রিং করে পানি সেচ দিবেন, এবং অবশ্যই বিকেল বেলা দিতে হবে। কারন আপন যদি সকালে সেচ দেন সে ক্ষেত্রে দুপুরের রোদে কিন্তু পানি উড়ে চলে যাবে। তাই আপনারা অবশ্যই বিকেলে দিবেন।