গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী-ননদের বিরুদ্ধে মামলা

যৌতুকের ৫লাখ টাকার জন্য গৃহবধূকে মারপিটসহ বাড়ি হতে বের করে দেওয়ার অভিযোগে আদালতে নির্দেশে কোতয়ালি থানায় যৌতুক আইনে মামলা হয়েছে। শুক্রবার ১৪ এপ্রিল গভীর রাত সাড়ে ১২ টায় মামলাটি করেন,নির্যাতিতা গৃহবধূ বেনাপোল পোর্ট থানার অর্ন্তগত কাগজপুকুর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুল আজিকের মেয়ে মোছাঃ রিক্তা আক্তার। আসামী করেন, গৃহবধূর স্বামী যশোর শহরের ৭নং ললডাঙ্গা রোড বেজপাড়া এলাকার মৃত রফিউদ্দিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন রুবেল, ননদ মোছাঃ নূরজাহান পলি ও মামা শ^শুর শহরের বচকরের মৃত আজিজ আহম্মেদের ছেলে নাজির আহম্মেদ।

মামলায় গৃহবধূ উল্লেখ করেন, তিনি একজন পিতৃহারা নির্যাতিতা গৃহবধূ। রিয়াজ উদ্দিন রুবেল তার স্বামী, নূরজাহান পলি তার ননদ ও নাজির আহম্মেদ তার মামা শ^শুর। বিগত ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর পারিবারিকভাবে রিয়াজ উদ্দিন রুবের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর গৃহবধূর পিতা জীবিত ছিলেন। বিয়ের উপহার হিসেবে গৃহবধূর পিতা জামাতা রিয়াজ উদ্দিন রুবেলকে দামি হাতঘড়ি,গলার সোবান চেইন,টাস মোবাইল ফোন,গৃহবধূকে গলার ও কানের সোনার গহনা প্রদান করেন। ননদ নূরজাহান বিধবা হয়ে গৃহবধূর স্বামী রিয়াজ উদ্দিন রুবেলের সংসারে বসবাস করছে। স্বামীর সাথে বসবাস করার সময় বাদি বুঝতে পারেন যে তার স্বামী একজন ইয়াবা সেবনকারী,নেশাগ্রস্থ। নেশা করে বাদিকে মারপিট করা তার নিত্যকর্ম হয়ে দাঁড়ায়। বিয়ের ৬ মাস পরেই নগদ টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার যৌতুক দাবি করে রিয়াজ উদ্দিন রুবেল বাদির উপর নির্যাতন করে যেতে থাকলে গৃহবধূর মা ও ভাই বিবিন্ন তারিখে গৃহবধূর সুখের কথা চিন্তা করে রিয়াজ উদ্দিন রুবেল ও নূরজাহানের সংসারে ব্যবহার্য সমুদয় জিনিসপত্রসহ নগদ ১লাখ টাকা প্রদান করে। তারপরও রুবেলের যৌতুকের দাবি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। নূরজাহান ও নাজিম আহম্মেদ রুবেলকে সমর্থন করে যেতে থাকলে ইতিমধ্যে গৃহবধূর পিতা মৃত্যুবরণ করে।

গৃহবধূ তার পিতার কিচু সম্পত্তিতে ওয়ারেশ হয়। উক্ত পিতার সম্পত্তির অংশ বিক্রি করে যৌতুক স্বরুপ ৫লাখ টাকা রুবেল এনে দিতে বলে। গৃহবধূ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাকে মারপিট শুরু করে। গৃহবধূর ভাই ঘটনা শুনে তার দুই ভাই গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে আসলে রুবেল তার স্ত্রীর প্রাপ্ত জমির অংশ হিসেবে ৫লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দিতে বলে। গৃহবধূর ভাই এখন দিতে পারবেনা বলে জানালে গৃহবধূকে মারপিট করে বাড়ি হতে বের করে দেয়। ঘটনার ব্যাপারে গৃহবধূ থানায় এলে থানা পুলিশ মামলা হিসেবে গ্রহন না করায় গৃহবধূ আদালতে স্মরনাপন্ন হলে আদালত গৃহবধূর অভিযোগ আমলে নিয়ে কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহনের আদেশ দিলে থানা পুলিশ মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেন।