যশোরে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীর নামে মামলা

শিশু গৃহ পরিচারিকা মোছাঃ ফিহামনি (১২) নির্যাতনের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৩ এপ্রিল রাতে মামলাটি করেন, শিশু গৃহপরিচার মাতা নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেন ও বর্তমান স্বামী আব্দুর রহমানের স্ত্রী মোচাঃ ফরিদা খাতুন। মামলায় আসামী করেন, দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার টংগুয়া গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরেরর ঘোপ নওয়াপাড়া রোড বাসা নং ৫৮৫/২, জনৈক শহিদুল ইসলামের বাড়ির দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া সিরাজুল হকজ সরকারের ছেলে সরকার শামম আহম্মেদ অংকু ও তার স্ত্রী মোছাঃ জিনাত রেহেনা জুঁই। স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৭০ শিশু আইন,২০১৩,শারীরিক ও মানসিক ভাবে শিশু নির্যাতনসহ মারপিট করার অপরাধে মামলাটি হয়।

মামলায় শিশুটির মাতা মোছাঃ ফরিদা খাতুন উল্লেখ করেন,তার মেয়ে মোছাঃ ফিহামনিকে গত ৯ মাস পূর্বে সিরাজুল হক সরকার তার বাসায় কাজের জন্য নিয়ে যায়। পরবর্র্তীতে বাদি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পােেরন সেখানে তার মেয়ে নেই। সিরাজুল হক সরকার তার ছেলে সরকার শামীম আহম্মেদ অংকুর ভাড়া বাসায় বাসায় কাজ করার জন্য পাঠিয়ে দেয়। শিশুটিকে ভোরন পোষনের পাশাপাশি লেখাপড়া শেখানো ও মাসে মাসে একটি পারিশ্রমিক দিবে বলে বাদির সাথে কথা হয়।

বিগত ৯ মাস যাবত বাদি তার মেয়ের খোঁজ খবর নিতে সিরাজুল হকের বাসায় গেলে সে জানায় তার মেয়ে ভাল আছে ও কোন সমস্যা নেই বলে জানায়। গত ১২ এপ্রিল রাত ১১ জেবে ৫০ মিনিটে যশোর কোতয়ালি থানা থেকে এক অফিসার বাদিতে ফোন করে জানায় তার শিশু মেয়েকে ভাড়া ভাসা থেকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে বাদি হাসপাতালে এসে তার শিশু মেয়ের কাছে বিস্তারিক জানতে পারেন তার উপর নির্যাতনের কথা। পরবর্তীতে তিনি থানায় হাজির হয়ে মামলা করেন।