চোখে টর্চের আলো লাগার জের ধরে ক্ষুব্ধ হয়ে যশোর সদরের বানিয়াগাতি গ্রামে আনারুল ইসলাম (৩০) নামে দিন মজুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে জখম করার অপরাধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ঝিনাইদহ গ্রামের মহেষপুর উপজেলার বাগদিরাইট গ্রামের লুৎফর মিয়ার ছেলে আহত আনারুলের ভাই সোহেল রানা (৩৫) তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরো ১/২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিরা হলো সদরের বানিয়াগাতি গ্রামের মৃত কালাম বিশ্বাসের ছেলে রনি হোসেন (৩৫) মৃত কালাম বিশ্বাসের স্ত্রী মোছাঃ পারভিন খাতুন কালাম বিশ্বাসের মেয়ে তুহিন হোসেনের স্ত্রী রানী বেগম (২০)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আনারুল ইসলাম বানিয়াগাতি গ্রামের জনৈক জুয়েল রানার বাড়ি থেকে দিনমজুরের কাজ করে। আসামি রনি হোসেন সংঘবদ্ধ অপরাধ দলের সক্রিয় সদস্য। এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। সোহেল রানার আপন বড় ভাই আনারুলের সাথে মোবারক হোসেন ১৩ এপ্রিল রাতে একই গ্রামের ফিরোজের দোকানে হাবিবুর রহমানের কাছে মজুরির পাওনা টাকা আনতে যায়। যাওয়ার সময় টর্চ লাইট জ্বালিয়ে যায়। টর্চ লাইটের আলো আসামি রনির চোখে পড়লে সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। রনি বাড়ির সামনে দাড়িয়ে ছিলো। আনারুল গালিগালাজ করতে নিষেধ করে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রনি বাড়ি থেকে ধারালো দা এনে ২/৩ জনকে সাথে করে নিয়ে আনারুলের উপর আক্রমন করে। আসামি পারভিন খাতুন ও রানি বেগম আনারুলের দুই হাত ধরে রাখে।
আসামি রনি হোসেন দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আনারুলের মাথার বাম পাশে কোপ মেরে রক্তাত্ত জখম করে। আনারুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আসামিরা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আহত আনারুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়্ সেখানে তার মারীরিক অবস্থার অবন্নতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে আনারুলে কাছে ঘটনা শুনে পরিবারের সাথে আলোচনা করে মামলা করা হয়।