সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ধারাইন নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়া দুর্লভ রানী দাসের মরদেহ (৩০) উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মাউতি বাঁধের পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও তার দুই সন্তান নিখোঁজ রয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হবিবপুর ইউনিয়নের ঢোলপুর গ্রামের রথীন্দ্র দাসের স্ত্রী দুর্লভ রানী দাস এবং তার দুই সন্তান জবা রানী দাস (৭) ও বিজয় দাস (৪) ধারাইন নদীর স্রোতে ভেসে যায়। দুই সন্তানকে নিয়ে শাল্লা হাসপাতালে
চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে হাসপাতালে যাওয়ার পথে শাল্লা ব্রিজের পাশে ডুবন্ত সংযোগ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু তালেব জানান, ফায়ার সার্ভিসের দু’জন ডুবুরি, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজ করছেন। মায়ের মরদেহ পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত দুই সন্তানকে পাওয়া যায়নি।
সোমবার রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত দুর্লভ রানী ও তার সন্তানদের সঠিক পরিচয় জানা যায়নি। মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজে রথীন্দ্র দাস উপজেলা সদরে গেলে তাদের পরিচয় জানা যায়।