প্রতিদিনের কর্মব্যস্ত জীবনে কেউ হাঁপিয়ে উঠেছেন পড়াশোনায়; ক্যারিয়ারের পাশাপাশি বাড়িতেও সময় দিতে হয়। সব মিলিয়ে এক ধরনের ক্লান্তি বা অবসন্নতা আসতেই পারে। তবে কিছু অভ্যাসের চর্চা করলে এ সমস্যা এড়িয়ে প্রাণবন্ত জীবনযাপন সম্ভব।
খাদ্যাভ্যাস: সকালের নাশতায় আঁশযুক্ত খাবার এবং প্রোটিন রাখুন। সম্ভব হলে তাজা ফলমূলও। সকালের নাশতা আপনার মেটাবলিজম শুরু করতে সাহায্য করে। দুপুরে খাবারের পরিমাণ কম রাখা ভালো।
তবে কোনো বেলাতেই না খেয়ে থাকবেন না। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। রোজকার খাদ্যতালিকায় টাটকা সবজি ও দেশীয় ফলমূল রাখুন।
কাজের রুটিন: সারাদিনের কাজগুলোকে সময় অনুযায়ী ভাগ করে নিন। কাজ ভাগ করে নিলে কাজের চাপ কম অনুভব করবেন। অফিসে কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে ছোট বিরতি নিন একটু হাঁটাহাঁটি করুন, হাত-পা টান টান করুন।
সহকর্মীর সঙ্গে গল্প করুন। সম্ভব হলে ২০-৩০ মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিন। হালকা কোনো খাবার খেয়ে নিতে পারেন।
প্রতিদিন ব্যায়ামের জন্য আলাদা একটা সময় রাখুন। এতে কর্মক্ষমতা ও সুস্থতা বাড়বে। কাজকে উপভোগ করুন। একেবারে হাঁপিয়ে উঠলে কিছুদিনের ছুটি নিতে চেষ্টা করুন, পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে দূরে কোথাও বা প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে পারেন।
চিকিৎসা: ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদি কারণেও ক্লান্তি আসে। বছরে একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন। শক্তি বাড়ানোর জন্য কোনো ওষুধ সেবন করবেন না, হিতে বিপরীত হতে পারে। ক্রমাগত অবসন্নতা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লেখক: অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা