ঝিনাইদহের গণপুর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ঝিনাইদহ গণপুর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি জিপ গাড়ীর অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়া বদলি হওয়ার পর ঝিনাইদহের অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালন করার অজুহাতে নানা অনিয়ম করছেন তিনি।

জানা যায়, ৩ মাস আগে ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়া গণপুর্ত বিভাগে বদলি হয় প্রকৌশলী ফারুক হোসেন। বদলি হওয়ার পর ঝিনাইদহে কোন কর্মকর্তা না থাকায় তাকে অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সুযোগে নানা অনিয়ম শুরু করেছে প্রকৌশলী ফারুক হোসেন।

অভিযোগে জানা যায়, কুষ্টিয়ায় পদায়ন হলেও ঝিনাইদহের গাড়ীটি তিনি নিয়মিত বাড়িতে নিয়ে যান। সরকারি তেল ব্যবহার করে গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে লাগাচ্ছেন। স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত কাজে সেই গাড়ী ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণপুর্ত বিভাগের এক কর্মচারী বলেন, ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়ায় বদলি হলেও প্রকৌশলী ফারুক হোসেন গাড়ী কুষ্টিয়ায় নিয়ে যায়। একবার কুষ্টিয়ার গাড়ী ব্যবহার করছে আবার ঝিনাইদহের গাড়ীও ব্যবহার করছে। তাও আবার ব্যক্তিগত কাজে। যা মোটেও ঠিক না। শুধু তাই না। প্রকৌশলী ফারুক হোসেন ঝিনাইদহ থাকাকালীন সময়ে তরিকুল ইসলাম নামের এক ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিজে ভাগ বসিয়েছেন। তরিকুলের নাম দিয়ে সব কাজ করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালন করছে নাম মাত্র। ঠিকমত অফিসেও আসেন না তিনি। যে কারণে মডেল মসজিদসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই দ্রুত ঝিনাইদহে একজন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়ার দাবী তাদের।

এ বাপ্যারে অভিযুক্ত প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বলেন, ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছি না। তবে মাঝে মাঝে ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়ায় ফেরার সময় নিয়ে আসি। আবার ফেরত পাঠায়। ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে যেতে পারেন কি না ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।

ঝিনাইদহ গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জেড়াল্ড অলিভার গুডা বলেন, গাড়ী কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাওয়ার কোন নিয়ম নেই। তবে এখানে ফ্যামেলি থাকার কারণে সে গাড়ী নিয়ে যায়। কর্মকর্তা না থাকার কারণে উন্নয়ন কাজ কিছুটা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।