সরকারি নিয়ম মানেন না হরিণাকুন্ডুর সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী আল ইসলাম

পবিত্র মাহে রমজানে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত সরকারি অফিস চলার কথা থাকলেও সে নিয়ম মানেন না ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী আল ইসলাম। নিজের ইচ্ছেমত অফিসে যান আর চলেও আসেন নিজের খেয়াল খুশিমত। যে কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে শত শত সেবা প্রত্যাশী। সেই সাথে তার এই কর্মকান্ডে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
জানা যায়, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় বর্তমানে ২ জন সাব-রেজিস্ট্রার রয়েছে। একজন ঝিনাইদহ সদরে ও অন্যজন হরিণাকুন্ডু উপজেলায়। সাব-রেজিস্ট্রার বদলি হওয়ার কারণে এই দুই জনকে একেক দিন একেক উপজেলার দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার মহেশপুর উপজেলায় তার জমি রেজিস্ট্রির দ্বায়িত্ব পড়ে।

সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগ সকাল ৯ টার সময় অফিস চালু হওয়ার কথা থাকলেও তিনি মহেশপুরে গেছেন সকাল ১১ টায়। সকাল থেকে ২ ঘন্টা অফিস করেন তিনি। আবার বিকাল ৩ টা বাজার সাথে সাথে তিনি অফিস থেকে চলে গেছেন। অফিসের সামনে অন্তত দেড় শতাধিক দলিল ক্রেতা-বিক্রেতা অপেক্ষা করা অবস্থায় তিনি চলে গেছেন।

উপজেলার বাউলী গ্রামে হাসান আলী বলেন, আমি ৩ সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করছি। সপ্তাহে একদিন জমি রেজিস্ট্রি হয় বলে আজ আমাদের তারিখ দিয়েছে। সেই সকালে আসছি। সকালে এসে দেখি সাব-রেজিস্ট্রার আসেনি। এখন বিকাল ৩ টা বাজে। আমার দলিল টা হওয়ার সময় তিনি রেজিস্ট্রি না করে চলে গেলেন।
ষাটোর্ধ বৃদ্ধা কহিনুর খাতুন বলেন, আমি আজ ২ সপ্তাহ ধরে ঘুরছি। রোজায় থেকে সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। আর উনি দলিল টা রেজিস্ট্রি না করে দিয়ে চলে গেলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দলিল লেখক বলেন, সাব রেজিস্ট্রার মেহেদী আল ইসলামের আচার ব্যবহার খুব খারাপ। তিনি তার ইচ্ছে মত অফিস করেন। যখন ইচ্ছে আসেন। যখন ইচ্ছে চলে যান।
এ ব্যাপারে কথা বলতে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় তার মোবাইলে কল দিলে তিনি তখনও অফিসে যান নি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৯ টায় অফিসে থাকার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ১০ টায়ও তিনি অফিসে পৌঁছান নি তিনি।

অভিযোগের ব্যাপারে মেহেদী আল ইসলাম বলেন, আমি রাত ১২ টা পর্যন্ত ওই অফিসে থাকলেও দলিল শেষ হবে না। শত শত মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাতে আমার কি ?